Health Tips For Men

৪০ পেরোনোর পর ছেলেদের কোন ৫টি শারীরিক পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে?

শরীরে কোনও বড় রোগ জাঁকিয়ে বসার আগেই ধরা পড়লে অনেক বড় ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তাই ৪০ পেরোলে কিছু কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৩ ১৮:৩৪
Share:

প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ ৪০ বছর বয়সের পর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। ছবি: সংগৃহীত।

বাড়ির আর পাঁচজনের খেয়াল রাখার পর বাড়ির ছেলেরা নিজেদের শরীরের উপর খুব বেশি মনোযোগ দেন না। সারা দিনের ব্যস্ততার মাঝে শরীরের জন্য সামান্য সময় বার করার সুযোগ হয়ে ওঠে না কারও কারও। ফলে ডায়েট হোক কিংবা জিম, সবই লাটে ওঠে! কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুস্বাস্থ্য। শরীরে কোনও বড় রোগ জাঁকিয়ে বসার আগেই ধরা পড়লে অনেক বড় ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তাই ৪০ পেরোলে কিছু কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

৪০ পেরোলেই সাবধান হোন। ছবি: সংগৃহীত।

কোন ৫টি পরীক্ষা করাতে হবে?

১) মানসিক চাপ: ৪০-এ অনেকেই কর্মজীবনের মধ্যগগনে থাকেন। শুধু কাজেরই নয়, থাকে পারিবারিক চাপও। সব মিলিয়ে চাপ বেড়ে যায় মনের উপর। শুধু বাহ্যিক কারণেই নয়, নিজের মনেও মধ্যবয়সে অনেক রকম টানাপড়েন চলে। এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।

Advertisement

২) ডায়াবিটিস: ডায়াবিটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আর ৪০ পার করলে অনেকটাই বেড়ে যায় এই রোগের ঝুঁকি। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি। এক দিন খালি পেটে রক্তপরীক্ষা করে জেনে নিন, আপনি ডায়াবেটিক কি না। অনেক সময় আগে থেকে পরীক্ষা করলে ভবিষ্যতে ডায়াবিটিস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, ধরা পড়ে যায় তা-ও।

৩) প্রস্টেট ক্যানসার: পুরুষদের মধ্যে যে ক্যানসারগুলি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তার মধ্যে প্রস্টেট গ্রন্থির ক্যানসার অন্যতম। ৪০ পেরোলেই তাই এই গ্রন্থির পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় মতো ধরা পড়লে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত ভাল চিকিৎসা সম্ভব এই ক্যানসারের।

৪) লিপিড প্রোফাইল: রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল এর মাত্রা হৃদ্‌রোগের সমস্যা ও স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই ৪০ পেরোলেই রক্তে স্নেহপদার্থের মাত্রা কত, তা পরীক্ষা করে জানা দরকার। আগাম সর্তকতা বাঁচিয়ে দিতে পারে প্রাণ।

৫) হরমোন: টেস্টোস্টেরন নামক একটি হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে হাইপোগোনাডিজম নামক একটি রোগ হতে পারে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুরুষ ৪০ বছর বয়সের পর এই হরমোনের সমস্যায় ভোগেন। তাই চল্লিশ পেরোলেই এই হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পাশাপাশি পরীক্ষা করা দরকার ভিটামিন বি১২ ও সিরাম ফেরিটিনের মাত্রাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন