বর্ষায় গোপনাঙ্গের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াবেন কী ভাবে? ছবি: শাটারস্টক।
বর্ষা মানেই যত রকম উটকো রোগের বাড়বাড়ন্ত। মেয়েদের এই সময়ে বাড়তি সমস্যা। কারণ একটুতেই তাঁদের নানা ধরনের স্ত্রীরোগ চেপে ধরে। ঠান্ডা-গরম আবহাওয়া এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জীবাণু সহজেই বংশবিস্তার করে। আর্দ্র পরিবেশ, তাপমাত্রার তারতম্য, যোনির পিএইচ-এ হেরফের— এ সবই ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক তৈরির জন্য আদর্শ। তাই বর্ষায় মেয়েদের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট সংক্রমণ, রিপ্রোডাক্টিভ ট্র্যাক্ট সংক্রমণ এবং অন্যান্য স্ত্রীরোগের আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ঝুঁকি এড়াতে এ সময়ে জল দিয়ে বার বার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করতে হবে। অন্য কোনও প্রসাধনীর বদলে শুধু জলই ব্যবহার করা শ্রেয়। এবং প্রত্যেক বারই শুকনো করে মুছে ফেলতে হবে। তা হলেই আর ব্যাক্টেরিয়া কিংবা ছত্রাক কোনও ভাবেই জন্মাতে পারবে না। কী ভাবে সাবধানে থাকবেন মহিলারা?
১) বর্ষায় কোনও আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরবেন না। তার বদলে নরম সুতির কাপড়ের অন্তর্বাস বেছে নিন, যাতে ভিজে গেলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতে পারে। না হলেই জায়গাটি আর্দ্র হয়ে নানা রকম জীবাণু সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, র্যাশ বেরোনোর ঝুঁকিও থাকে।
২) ঋতুস্রাব চলাকালীন একটু ঘন ঘন স্যানিটারি প্যাড বা ট্যাম্পন বদলানো প্রয়োজন। যতটা সম্ভব যোনি শুকনো এবং পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন, যাতে কোনও রকম সংক্রমণ না হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি এ সময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বদলে মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করতে পারেন। তা হলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
৩) অনেকে মেয়েই যৌনাঙ্গের অবাঞ্ছিত চুল রেজ়ারের সাহায্যে তুলে ফেলেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা এই মরসুমে তা নিষেধ করছেন। শেভ করলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। ত্বক অত্যধিক স্পর্শকাতর হয়ে গিয়ে র্যাশ বেরোতে পারে। তাই বর্ষায় এই কাজটি না করাই শ্রেয়।
৪) সারা বছরই যে কোনও প্রাপ্তবয়স্কের ২-৩ লিটার জল খাওয়া উচিত প্রত্যেক দিন (যদি না তাঁর অন্য কোনও বিশেষ শারীরিক সমস্যা থাকে)। কিন্তু বর্ষাকালে এ বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। বর্ষায় শরীর থেকে দ্রুত অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। যোনির পিএইচ মাত্রা বজায় রাখার জন্য তাই পরিমাণ মতো জল খাওয়া প্রয়োজন।
৫) যোনি পরিষ্কার করার জন্য ভিজে ন্যাপকিন, তোয়ালে, টিস্যু ব্যবহার না করাই ভাল, এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।