dental care tips for seniors

বয়সের সঙ্গে সব দাঁত পড়ে যায়, সময় থাকতে যত্ন নিতে ৫ পরামর্শ জেনে নিন

বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে একটা সময়ে সব দাঁতই পড়ে যেতে পারে। তাই সময় থাকতে মুখের ভিতরের অংশের যত্ন নেওয়া উচিত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১৪:২৮
Share:

প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।

বয়সের সঙ্গে অনেকেই দাঁতের যত্ন নিতে ভুলে যান। ফলে বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে এক সময়ে সমস্ত দাঁত পড়ে যেতে পারে। আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর ২০২০ সালের তথ্য বলছে, ৬৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সের মধ্যে ১১ শতাংশ মানুষের সব দাঁত পড়ে যায়। তাই দন্ত্যচিকিৎসকদের মতে, সময় থাকতে সাবধান হওয়া উচিত এবং মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া উচিত।

Advertisement

১) মাড়ির যত্ন: সমীক্ষা বলছে ৬৫ বছরের পর তিন জন মানুষের মধ্যে অন্তত এক জন মাড়ির কোনও না কোনও সমস্যায় ভোগেন। কারও দাঁত অক্ষত থাকলেও মাড়ির সমস্যা বয়সকালে খাবার চিবোতে বাধা দেয়। তার ফলে অনেকেই শক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন, যা পরোক্ষে শরীরে পুষ্টির অভাব তৈরি করে। মাড়ি ফুলে গেলে তা থেকে প্রদাহ তৈরি হতে পারে। যদি দাঁত মাজতে গিয়ে মাড়ি থেকে রক্তপাত হয় বা মাড়িতে ব্যথা হয়, তা হলে দন্ত্যচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

২) ড্রাই মাউথ: বয়সের সঙ্গে মুখে লালা তৈরির পরিমাণ কমে আসে। তার ফলে মুখের ভিতরের অংশ শুকিয়ে যায়। কিন্তু লালা মুখের ভিতরের অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে দাঁতের এনামেল সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময়ে রক্তচাপ সহ বিভিন্ন অসুখের ওষুধ থেকেও ড্রাই মাউথ হতে পারে। সমস্যা থেকে বাঁচতে, দিনে পর্যাপ্ত পরিামাণে জল খাওয়া উচিত। কোনও খাবার খাওয়ার পরেই কুলকুচি করতে হবে। পাশাপাশি, নিয়মিত ফ্লুয়োরাইড জাতীয় টুথপেস্ট এবং কোনও ভাল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত।

Advertisement

৩) চিকিৎসকের ভূমিকা: দাঁতের ক্ষেত্রে অনেকেই শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়মিত দন্ত্যচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তার ফলে সমস্যা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব।

৪) খরচসাপেক্ষ: দাঁতের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। অনেকেই তার জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিলেও চিকিৎসা সম্পূর্ণ করেন না। সঠিক সময়ে সমস্যা শনাক্ত না হলে, খরচ এবং সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই বয়সের সঙ্গে দাঁতের চিকিৎসার জন্য বিমা করিয়ে রাখা যেতে পারে। পাশাপাশি, নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করলে চিকিৎসার খরচ অনুয়ায়ী পরিকল্পনা করা যেতে পারে।

৫) বদভ্যাস ত্যাগ: দাঁতের ক্ষতির ক্ষেত্রে ধূমপান, কফি, গুটখা বা খৈনির মতো জিনিসগুলি মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই সময় থাকতে এই ধরনের অভ্যাসগুলি ত্যাগ করতে পারলে সার্বিক ভাবে মুখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement