Food for Efficient Brain Function

সামনে কঠিন পরীক্ষা? চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মস্তিষ্ককে সতেজ রাখবে ৭ খাবার

মাথা যদি ঠান্ডা থাকে আর ভাবনা যদি থাকে নিয়ন্ত্রণে, তবে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। কঠিন পরীক্ষার সময়ে মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে এবং মস্তিষ্কের পূর্ণ ক্ষমতার বিকাশে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:৩৯
Share:

ছবি : এআই।

পরীক্ষার মুখোমুখি সেই স্কুল থেকেই হয়ে আসছেন। ছোটবেলায় হলঘরে বসে দেওয়া পরীক্ষা তখনকার জন্য কঠিন ছিল। আর এখন কঠিন জীবনের নানা ওঠাপড়ার পরীক্ষা। তবে চ্যালেঞ্জ যতই কঠিন হোক না কেন মাথা যদি ঠান্ডা থাকে আর ভাবনা যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Advertisement

কঠিন পরীক্ষার সময়ে মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে এবং মস্তিষ্কের পূর্ণ ক্ষমতার বিকাশে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার। পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর বলছেন, ‘‘মস্তিষ্ককে সচল রাখতে হলে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেওয়া দরকারি। আর সেই কাজটিই করতে কয়েকটি খাবার নিয়মিত খাবারের থালায় রাখতে পারেন।’’ সেগুলি কী এবং কেন জরুরি, তা বিশদে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ।

কলা: কলা দ্রুত এনার্জি জোগাতে পারে। এ ছাড়া এটি শরীরকে পটাশিয়ামের জোগানও দেয়, যা মনঃসংযোগে সাহায্য করে।

Advertisement

ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যা স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।

বাদাম: চিনেবাদাম অনেকেই খেয়ে থাকেন। সেটি মস্তিষ্কের জন্য ভাল। এর পাশাপাশি, আমন্ড, আখরোট, কাজু, পেস্তাতেও রয়েছে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখার প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা পড়াশোনা বা কাজের ক্ষেত্রে একাগ্রতা বৃদ্ধি করতে সাাহয্য করে।

বীজ: বিভিন্ন ধরনের বীজ, যেমন কুমড়োর বীজ, তিসির বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিয়া বীজ ইত্যাদিতে রয়েছে মস্তিষ্কের প্রয়োজনীয় মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল: আমলকি, পেয়ারা, লেবু, আপেল, পেঁপের মতো ভিটামিন সির মাত্রা বেশি এমন ফল প্রতি দিন অন্তত একটি করে খাওয়া ভাল। কারণ এই সমস্ত ফলে থাকা জোরালো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কের কাজ করতে সাহায্য করে।

ডিম: ডিমে রয়েছে কোলিন নামের একটি উপাদান। যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কাজে এবং পড়ায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

ওটস: ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা ধীরে ধীরে শরীরকে শক্তি জোগাতে থাকে। দীর্ঘ দিন ধরে কোনও কঠিন বা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলে নিয়মিত ওটস খেতে পারেন। বা দীর্ঘ সময় ধরে সন্তানের স্কুলে পরীক্ষা চললে তাকেও নিয়মিত ওটস খাওয়াতে পারেন।

গ্রিন টি: এতে রয়েছে এল-থিয়ানিন। যা মনকে শান্ত রাখার পাশাপাশি একাগ্রতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

জল: এই সমস্ত কিছুর পাশাপাশি নিয়মিত জল না খেলে, সমস্ত চেষ্টাই বৃথা। শরীর আর্দ্র না থাকলে মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement