মন ভাল করার নেপথ্যে থাকে খাবারও! ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
আচমকা মনখারাপ, আবার হঠাৎ করেই আনন্দ— মনের ভাল-খারাপ, ওঠা-পড়ার নেপথ্যে থাকে হরমোন। শরীরের অনেক নিয়ন্ত্রকের মধ্যে অন্যতম হল হরমোন। হরমোনের মাত্রা সামান্য কম-বেশি হলেও তার প্রভাব সরাসরি পড়ে মানসিক স্থিতিতে। কোনও হরমোন যেমন দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়, তেমনই সুখানুভূতি-আনন্দের সঙ্গেও জুড়ে থাকে বিশেষ বিশেষ হরমোন। তেমনই একটি ডোপামিন। এই ধরনের নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা খুবই সূক্ষ্ম অথচ প্রভাবশালী।
কোনও কাজে অনুপ্রেরণা দেওয়া হোক বা আনন্দের অনুভূতি— ডোপামিনের ক্ষরণের সঙ্গে অনেক কিছুই সম্পর্কিত। শরীরচর্চা, সঠিক ঘুম যেমন এর নিয়ন্ত্রক, তেমনই কিছু কিছু খাবার হরমোনটির নিঃসরণে খুব সূক্ষ্ম ভাবে সহায়তা করে।
মন ভাল রাখতে কোন খাবার খাবেন?
চপ, কাটলেট, মোগলাই, বিরিয়ানি দেখলে জিভে জল আসে। লোভনীয় খাবারগুলি কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। এমনকি, মন-মেজাজ ভাল রাখতে এই ধরনের খাবার মোটেই প্রভাব ফেলে না। বরং খাবারে থাকা ভিটামিন এবং খনিজই মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে।
কলা
কলায় মেলে টাইরোসাইন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড— যা ডোপামিনের ক্ষরণে সাহায্য করে। পাকা কলায় মন ভাল করার উপাদান বেশি মাত্রায় মজুত থাকে। এতে থাকা ভিটামিন বি৬ কো-এনজ়াইম হিসাবে কাজ করে এবং ডোপামিন উৎপাদনে সহায়তা করে।
ডিম
ডিমেও রয়েছে টাইরোসাইন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড। টাইরোসাইন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে ভূমিকা রাখে। ডিমে থাকা কোলাইনও মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সহায়ক। প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শুধু শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে না, মেজাজের উপরেও ডিমের বিভিন্ন উপাদানের ভূমিকা রয়েছে।
ডার্ক চকোলেট
এতে থাকে ফিনাইলেথাইলামিন নামে এমন এক যৌগ, যা স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, ডোপামিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। এতে থাকা ক্যাফিন এবং থিওব্রোমাইনও মেজাজের উপর প্রভাব ফেলে। সেই কারণে অনেক সময় একটু ডার্ক চকোলেট খেলে মন ফুরফুরে লাগে।
মজিয়ে নেওয়া খাবার
ইয়োগার্ট, কিমচি— এই ধরনের খাবারগুলি গাট হেলথ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। অন্ত্রের সঙ্গেও নিউরোট্রান্সমিটারের যোগ থাকে।
কাঠবাদাম
ডোপামিন নিঃসরণে সাহায্য করে কাঠবাদাম। এতে রয়েছে টাইরোসাইন, ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম। স্নায়ুতন্ত্র ভাল রাখতে, তার কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে প্রতিটি উপাদানই গুরুত্বপূর্ণ।