কোন খাবার খেয়ে উপোস ভাঙলে শরীরের ক্ষতি হবে না? ছবি: এআই।
লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে উপোস করেন অনেকেই। সাধারণ বাঙালি বাড়িতে সন্ধ্যাবেলাতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়। সেই পুজো শেষ হতে হতে প্রায় রাত হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘায়িত হয় উপোসের সময়। অনেকেই নির্জলা উপোস করেন। লক্ষ্মীপুজো নানা আয়োজনে ধকল শুরু হয় সকাল থেকেই। পরিশ্রমে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। তাই ফিট থাকতে উপোস ভঙ্গের সময় কী খাচ্ছেন, তা নিয়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে। সারা দিন না খেয়ে থাকার ফলে প্রবল খিদেয় কাতর হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মুহূর্তে যা খুশি খাওয়াও শরীরের জন্য ঠিক নয়। উপোস ভাঙার সময় কী খাওয়া যেতে পারে, যাতে সুস্থ থাকবে শরীর?
সারা দিন উপোস করে রাতে ভুলভাল খাবার খেয়ে নিলে কিন্তু শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে। পুষ্টিবিদদের মতে, নির্জলা উপোস ভাঙার সময় প্রথমে জল কিংবা লেবুর রস খাওয়া যেতে পারে। দীর্ঘ ক্ষণ উপোস করে থাকার পর ভারী খাবার খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। আধ ঘণ্টা পর শক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে। একটা রসগোল্লা খেতে পারেন। ভাজা মিষ্টির চেয়ে ছানার তৈরি রসালো মিষ্টি খেলে ভাল। ফল খাওয়া যেতে পারে। কিংবা দই-চিঁড়ে খাওয়া যেতে পারে।
হজম করতে সমস্যা হয়, এমন কোনও খাবার উপোসের পর খাওয়া উচিত নয়। কারণ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে হজমপ্রক্রিয়া খানিক ধীর হয়ে যায়। ফলে তখন যদি কেউ পোলাও-আলুর দম খেয়ে নেন, তা হলে মুশকিল। পাতলা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। তবে ভুলেও তেল-ঝাল-মশলাদার খাবার উপোস ভাঙার পর কখনও খাওয়া ঠিক নয়। তেমনই পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা ক্রনিক রোগের কারণে অনেকেই নির্জলা উপবাস করেন না। ওষুধ খেতে হয় বলে নির্জলা উপোসের ঝুঁকি নেন না অনেকেই। এ দিকে লক্ষ্মীপুজোর উপোসের নিয়মও কম নেই। নির্জলা উপোস না করলেও চাল সমেত অনেক কিছুই দাঁতে কাটা যায় না। সকলের নিয়মও এক রকম নয়। সে ক্ষেত্রে সাবু খাওয়া যেতে পারে, বলছেন পুষ্টিবিদেরা। সাবুর সঙ্গে কলা এবং অন্য দু-একটা ফল মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তা হলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে বলে মনে করেন অনন্যা।