প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।
বায়ুদূষণের ফলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। দিল্লিতে সম্প্রতি দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার কৃত্রিম বৃষ্টির উদ্যোগ নেয়। দূষণ খালি চোখে সব সময়ে দেখা যায় না। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া উচিত।
শীত আসতে আর বেশি দিন দেরি নেই। শীতকালে শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাই ফুসফুসের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কয়েকটি পরামর্শ খেয়াল রাখা উচিত।
১) অতিমারি কেটেছে পাঁচ বছর। কিন্তু বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে এখনও মাস্কের ব্যবহার আবশ্যক। বাড়ির বাইরে বাতাসের ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে মাস্ক। এন৯৫ বা এন৯৯ মাস্ক ব্যবহারে সুরক্ষা বেশি।
২) বাড়ির বাইরে সুরক্ষার পাশাপাশি অন্দরমহলের বাতাসের গুণমান যাতে ভাল থাকে, তা-ও নিশ্চিত করা উচিত। এখন বাজারে এয়ার পিউরিফায়ার সহজলভ্য। তবে টাকা খরচ না করেও সমস্যার সমাধান হতে পারে। বাড়িতে যাতে হাওয়া চলাচল করে, তার জন্য পাখা চালিয়ে বা জানলা খুলে রাখতে হবে। বাড়িতে গাছ থাকলেও বাতাসের গুণমান ভাল থাকে।
৩) শীতের শুরুতে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। বায়ুদূষণের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা উচিত। তার জন্য অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং বিভিন্ন ভিটামিনে পরিপূর্ণ খাবার খাওয়া উচিত। বাতাসের ক্ষতিকারক পদার্থের সঙ্গে মোকাবিলা করতে আদা, হলুদ এবং মধু উপকারী।