দেদার খাওয়াদাওয়ার পরেও অম্বল হবে না, জানুন ঘরোয়া টোটকা। ছবি: ফ্রিপিক।
পুজোর দিনগুলোতে সময় আর নিয়ম কোনওটাই মানা হয়ে ওঠে না। কালীপুজো-ভাইফোঁটা মানেই দেদার খাওয়াদাওয়া। কিন্তু নিয়ম ভেঙে মনে যতই আনন্দ হোক না কেন, শরীর কি আর এ সব অনিয়ম মেনে নিতে পারে! এমনিতেই গ্যাস-অম্বল বাঙালির নিত্যসঙ্গী। তার উপরে পুজোর দিনগুলোর অনিয়ম, বাইরের ভাজাভুজি খাওয়ায় সেই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
বাঙালি খাদ্যরসিক। সে কারণেই গ্যাস-অম্বল, চোয়া ঢেঁকুর পিছু ছাড়ে না বাঙালির। অনেকের আবার বাইরের তেল-মশলাদার খাবার সহ্য হয় না একেবারেই। দু’চামচ বিরিয়ানি খেলেন কিংবা কামড় বসালেন কবিরাজিতে— ব্যস সঙ্গে সঙ্গে মুখের ভিতর টক টক ভাব। কিন্তু গ্যাস-অম্বলের ভয়ে তো আর রসনার তৃপ্তি থেকে দূরে থাকা যায় না। তবে নিয়ম মানলে আর ভয় নেই।
নিয়মিত গ্যাস-অম্বলের জন্য মুঠো মুঠো ওষুধ খেলেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে জেনে নিন গ্যাস-অম্বল সারানোর কিছু ঘরোয়া টোটকা।
১) অম্বল হয়ে পেট-বুক জ্বালা করলে সঙ্গে সঙ্গে আরাম দিতে পারে আধ কাপ ঠান্ডা দুধ। দুধে এমন কিছু জিনিস থাকে, যা অ্যাসিডের সঙ্গে লড়তে সক্ষম। শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। ফলে কম সময়ে শরীরের ভিতরের জ্বালা ভাব কমে।
২) বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খেয়ে ফেললে তার পরে কখনওই সঙ্গে সঙ্গে জল খাবেন না। অম্বলের সমস্যা বেশি হলে সারা রাত মৌরি জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল ছেঁকে খেলে গ্যাস-অম্বলের থেকে রেহাই পেতে পারেন।
৩) গোলমরিচ, লবঙ্গ, এলাচ খেলেও অ্যাসিডের হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। অল্প বিটনুন দিয়ে আদা কুচি খেলে গ্যাস-অম্বল প্রতিরোধ করা যায়।
৪) কলায় প্রচুর পটাসিয়াম থাকে, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। গ্যাস-অম্বল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৫) জিরে গ্যাস-অম্বল নিরাময়ে খুবই সাহায্য করে। শুকনো খোলায় জিরে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এক চামচ জিরে গুঁড়ো এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও হজমের সমস্যায় টক দইয়ের সঙ্গে জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।