শরীর সুস্থ রাখবে কোন কোন পানীয়? ছবি: এআই।
কালীপুজোয় উপোস না করলেও অনেকেই রাত জাগেন। যদি সারা রাত জেগে আড্ডা ও হইহুল্লোড় করার পরিকল্পনা থাকে, তা হলে শরীর সুস্থ রাখতেই হবে। বেশি রাতে বার বার চা বা কফি খাওয়া, অথবা রাতভর মদ্যপান বা নরম পানীয়ে চুমুক দিলে ক্ষতি হবেই। তার চেয়ে শরীর আর্দ্র রাখতে এমন কিছু পানীয় হাতের কাছে রাখুন যা আপনাকে শক্তিও জোগাবে, আবার পরদিন শরীর চাঙ্গাও রাখবে।
রাত জাগলে কোন কোন পানীয়ে চুমুক দেবেন?
বেশি রাত জাগলে শরীরে জল ও অন্যান্য খনিজ লবণের ঘাটতি হয়। যার থেকে ডিহাইড্রেশন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ডিহাইড্রেশন হলে গলা শুকিয়ে যেতে থাকে অনবরত। তেষ্টা পায় ঘনঘন। প্রস্রাব কমে যায়। ক্লান্তি চেপে বসে শরীরে। শুকনো হয়ে যায় ত্বক। ঝিমুনি আসে। সামান্য কারণেই বিরক্তির মতো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। মাত্রাতিরিক্ত ডিহাইড্রেশনের ক্ষেত্রে সংজ্ঞা হারানো, বুক ধড়ফড়, দ্রুত শ্বাস, নিম্ন রক্তচাপের মতো নানা সমস্যা হয়। তাই শরীর আর্দ্র রাখা খুব জরুরি।
১) জলে শসার টুকরো ও বিভিন্ন রকম লেবু, যেমন কমলালেবু, বাতাবি লেবু বা মুসাম্বির টুকরো মিশিয়ে সেই জল পান করতে পারেন। এই ডিটক্স জল শরীর তরতাজা তো রাখেই, সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তবে অম্বলের ধাত থাকলে লেবুর বদলে আপেল দিতে পারেন।
২) কাচের জারে পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, মশলার মধ্যে আদা, দারচিনি, গোটা হলুদ, লবঙ্গ ভিজিয়ে রাখুন। ঘণ্টা দুয়েক ভেজানোর পরে সেই জল অল্প অল্প করে পান করুন।
৩) প্যানে ৪ কাপ জল এবং ২ চা চামচ গোটা জিরে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। গ্যাস বন্ধ করে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন। তার পর ছেঁকে নিয়ে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে খেয়ে নিন। চাইলে সামান্য মধুও দিতে পারেন। এই পানীয় শরীর আর্দ্র রাখবে।
৪) তরমুজের ‘ডিটক্স’ পানীয়ও খুব উপকারী। পানীয় বানাতে প্রয়োজন ৬-৭ টুকরো তরমুজ, লেবুর রস। একটি কাচের জারে তরমুজের ওই ৬/৭টি টুকরো, লেবুর রস যোগ করে তাতে পরিমাণমতো জল ঢালুন। পুদিনা পাতাও মেশাতে পারেন। তার পর সেই পানীয় ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘণ্টা। ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা ঠান্ডা পান করলেই আরাম পাবেন।