high protein risks

ডায়েটে অতিরিক্ত প্রোটিন থাকে, এই অভ্যাসে অল্প বয়সেই হার্টের কী কী ক্ষতি হয়?

পেশি সুগঠনের জন্য অনেকেই অতিরিক্ত মাত্রায় প্রোটিন খান। কিন্তু যেমন খুশি প্রোটিন খেলে উপকারের তুলনায় অপকারই বেশি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৫২
Share:

অতিরিক্ত মাত্রায় প্রোটিন খাওয়ার ফলে অল্প বয়সেই হার্টের ক্ষতির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত।

সুস্থ থাকতে অনেক সময়েই ডায়েটে প্রোটিনের উপর জোর দেওয়া হয়। কারণ, পেশির ঘনত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে প্রোটিন। যাঁরা ক্রিড়াবিদ বা যাঁরা নিয়মিত জিমে শরীরচর্চা করেন, তাঁরা অনেকেই ডায়েটে অতিরিক্ত প্রোটিন রাখেন। কিন্তু এই অভ্যাসের নেপথ্যে নানা শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে অল্পবয়সিদের মধ্যে অতিরিক্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েটের প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। তার ফলে অল্প বয়সেই তাঁদের নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

Advertisement

১) উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার, যেমন মাংস, প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে। সময়ের সঙ্গে এই ধরনের খাবার কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। পাশাপাশি, ধমনীর দেওয়ালে ফ্যাট জমে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে।

২) অতিরিক্ত মাত্রায় প্রোটিন খাওয়ার ফলে কিডনির উপর চাপ তৈরি হতে পারে। তার ফলে কিডনিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে। সময়ের সঙ্গে অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।

Advertisement

৩) অতিরিক্ত প্রোটিন এবং কম কার্বহাইড্রেট যুক্ত ডায়েটের ফলে দেহে প্রদাহের পরিমাণ বাড়তে পারে। তার ফলে দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতাও ত্বরান্বিত হতে পারে। ফলে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন টাইপ টু ডায়াবিটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

৪) খেয়াল রাখা উচিত, প্রাণিজ প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিজ্জ প্রোটিন অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কারণ, তার মধ্যে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। ২০২৩ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দেখা গিয়েছে, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ১০ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।

৫) ক্রীড়াবিদ বা যাঁরা জিমে যাচ্ছেন, তাঁরা অনেক সময় খোঁজখবর না করেই প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন। যে কোনও প্রোটিন পাউডার ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অন্যথায় ধমনীর আড়ষ্টতা, ইনসুলিনের ক্ষমতা হ্রাস, দেহে অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হাইপার টেনশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement