হাঁটুর ব্যথা কমবে, পায়ের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে রোজ অভ্যাস করুন এই আসন। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
পায়ের যন্ত্রণায় কে না ভুগছেন? ত্রিশ থেকে ষাট হাঁটু-কোমরের যন্ত্রণায় কাতর। কারও ওঠাবসা করতে সমস্যা, কেউ এক বার বসলে আর সহজে উঠতে পারেন না। কারও আবার দীর্ঘ সময় বসে থাকলে পা ফুলে যায়। এমন সমস্যার মুখোমুখি হলে শুধু গরম সেঁক দিয়ে লাভ হয় না। ওষুধে আরাম হয় সাময়িক। যদি পায়ে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে হয়, তা হলে যোগাসনই ভরসা। যোগের একটি পদ্ধতি নিয়মিত অভ্যাস করলে পায়ের যন্ত্রণা কমে যাবে অল্প দিনেই।
উপবিষ্ট সারস আসন হল যোগের এমন এক পদ্ধতি, যাতে শরীরের নিম্নাংশের ব্যায়াম হয়। বসে করতে হয় এই আসন। ভঙ্গিমা অনেকটা সারস পাখির মতো দেখায়, তাই এর এমন নামকরণ। একে ক্রৌঞ্চাসনও বলা হয়।
কী ভাবে করবেন?
১) ম্যাটের উপর পা দু’টি সোজা করে বসুন।
২) এর পর ডান পা ভাঁজ করে বুকের কাছে আনুন এবং ডান গোড়ালি বাম ঊরুর উপর রাখুন।
৩) বাঁ পা ভাঁজ করে ডান পায়ের পাশে রাখুন।
৪)শ্বাস নিতে নিতে শরীরের উপরের অংশ সামনে ঝোঁকান এবং দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরুন।
৫) কিছু ক্ষণ এই অবস্থায় থাকুন এবং শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
৬) ওই ভঙ্গিমায় ২০ সেকেন্ড থেকে পা বদল করুন।
লাভ কী হবে?
মেরুদণ্ডের জোর বাড়বে।
নিতম্বের অসাড়তা কাটবে। একটানা বসে থেকে পা-কোমর ও নিতম্বে অসাড়তা এলে এই আসন অভ্যাস করা ভাল।
তলপেটের মেদ কমবে।
শরীরের নমনীয়তা বাড়বে।
ফুসফুসের জোর বাড়বে।
রজোনিবৃত্তির পরে আসনটি অভ্যাস করলে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
কারা করবেন না?
মেরুদণ্ডে আঘাত পেলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন করা উচিত নয়।
উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্রোগ থাকলে, এই আসন প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া করা যাবে না।