শীতের সব্জি মুলোর অনেক গুণ, তা দিয়ে বানান স্বাস্থ্যকর পরোটা, নিয়ম জানলে ওজন বাড়বে না

পুষ্টিগুণে ভরপুর মুলো সেদ্ধ খেতে কি সব সময় ভাল লাগে? স্যুপও সব সময় খাওয়া যায়। কী ভাবে পরোটা খেলে মুলোর পুষ্টিও মিলবে আবার ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকবে না জেনে নিন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৪
Share:

শীত মানেই টাটকা সব্জি। আর তা দিয়ে পুর তৈরি করে পরোটা খাওয়া। মেথি, মুলো, ফুলকপি— কত রকম পরোটাই না হয়। শীতের সব্জি মুলো দিয়েও হালকা মিষ্টি স্বাদের পরোটা হতে পারে। তবে পরোটা মানেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়। তেল ঘিয়ে ভাজা মানেই অনেকটা ক্যালোরি একসঙ্গে শরীরে যাওয়া।

Advertisement

তবে সবসময় কি আর মুলো সেদ্ধ খেতে ভাল লাগে, না স্যুপ খাওয়া যায়? তা ছাড়া, মুলো দিয়ে যখন সুস্বাদু পরোটা বানানোই যায়, তখন সেটাও খেতে ইচ্ছা হয়। জেনে নিন কী ভাবে পরোটা খেলে মুলোর পুষ্টিও মিলবে আবার ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকবে না।

মুলোর বেশিরভাগটাই জল।এই সব্জিতে ক্যালোরির পরিমাণও বেশ কম, আবার পুষ্টিগুণ অনেক। ডায়েটরি ফাইবার, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি৬, কে, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর সব্জিটি। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কম ক্যালোরি এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ার শর্ত অনায়াসে পূরণ করে সব্জিটি। শীতের দিনে জল খাওয়ার পরিমাণ কমে।এই সব্জিতে প্রচুর জলও থাকে। কাঁচা অথবা সেদ্ধ করে খেলে তা পাবে শরীর। মুলোয় রয়েছে ইন্ডোল-৩-কার্বিনল এবং ৪-মিথাইলথিয়ো-৩-বুটেনাইল-আইসোথিয়োসায়ানেট। এই সমস্ত উপাদান উৎসেচক ক্ষরণে উদ্দীপকের কাজ করে। লিভারে জমা টক্সিন সহজেই দূর করতে সাহায্য করে এই উৎসেচকগুলি।মুলোয় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা শরীরের জন্য খুব উপকারী। কাঁচা মুলো স্যালাড হিসাবে খেলে, কিংবা ঝোল অথবা সেদ্ধ করে খেলে এর পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি মিলবে। তবে পরোটাতেও এর পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব।

Advertisement

ওজন কমাতে কী ভাবে পরোটা বানাবেন?

১। ময়দার পরোটা কোনও ভাবেই খাওয়া যাবে না। গমের আটা খাওয়া যায় বটে, তবে পরোটা স্বাস্থ্যকর করে তুলতে রাগির আটা বেছে নিতে পারেন। আটার সঙ্গে অল্প বেসনও জুড়তে পারেন। রাগির আটার পুষ্টিগুণ বেশি, বাড়তি ফাইবারও মেলে। বেসনে থাকে প্রোটিন।

২। মুলোর সঙ্গে মুলো শাকটিও ভাল করে ধুয়ে কুচিয়ে দিন পুর হিসাবে। খোসা ছাড়িয়ে মুলো কুচিয়ে নিন। এর সঙ্গে একটু জোয়ান, কাঁচালঙ্কা, জিরে যোগ করুন। স্বাদ মতো নুন দিন। ভাল করে সমস্ত উপকরণ মেখে রাখলে মিনিট দশেক বাদে মুলো থেকে জল বেরোবে। সেই জল ভাল করে ছেঁকে নিন। জোয়ান, জিরে হজমে সহায়ক। কাঁচালঙ্কায় আছে ভিটামিন সি।

৩। পরোটার ভিতরে পুর ভরে বেলে নিন। তবে তেল বা ঘি কোনওটাই বেশি দেওয়া যাবে না। শুকনো কড়াইয়ে পরোটা সেঁকে নিন। আঁচ কমিয়ে উল্টে-পাল্টে সেঁকে নেওয়ার পর অল্প পরিমাণ সাদা তেল বা ঘি দিয়ে সেটি ভাজুন। ক্যালোরির খেয়াল রাখতে হলে তেল বা ঘিয়ের পরিমাণ কমাতে হবে।

৪। সব্জি মজিয়ে নেওয়ার আচার বা টক দিয়ে তৈরি রায়তার সঙ্গে খেতে পারেন মুলোর পরোটা। ফারমেন্টেড আচার বা মজিয়ে নেওয়া সব্জির আচার পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। টক দইও অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়।

পরোটা তৈরির কৌশল

• আটা মাখার পরে অন্তত ১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে পরোটা ভাল হবে।

• মুলোর মিহি করে কুচিয়ে নেওয়া বা গ্রেটারের সাহায্যে কুচিয়ে নেওয়ার পরে বাড়তি জল নিংড়ে না নিলে পরোটা বেলার সময় ফেটে যেতে পারে।

• মুলোর পুর ভরার পর বেলতে গিয়ে পরোটা ফেটে গেলে মুলোয় বেসন যোগ করতে পারেন। তবে কাঁচা নয়, শুকনো খোলায় নেড়ে নেওয়া বেসন দিন। এতে মুলোর জল ভাব কমবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement