পালংশাক খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায় কী? ছবি: সংগৃহীত।
বাজারে গেলেই এখন চোখে পড়ে থাকে থাকে সাজানো টাটকা দেশি পালং। সারা বছর ধরে পাওয়া গেলেও শীতকালে দেশি পালংয়ের স্বাদই হয় আলাদা। সব রকম টাটকা সব্জি দিয়ে বানানো পালং শাকের ঘণ্ট খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনিই স্বাস্থ্যকর এই শাক। পালং শাকে ভিটামিন এ, সি এবং কে ভরপুর মাত্রায় থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি ভাল করতেও পালং শাক উপকারী। এই শাক আয়রনে পরিপূর্ণ, যা শরীরে অক্সিজেন পাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রক্তাল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এই শাক বেশ উপকারী। কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই শাক হজমে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও বেশ উপকারী। রোজ কী ভাবে পালং শাক খেলে শরীর চাঙ্গা থাকবে আর ওজনও বাগে রাখা সম্ভব হবে, রইল হদিস।
ভিটামিন সি-এর সঙ্গে খান: পালংশাক স্যালাড হিসাবেও খাওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফল মিশিয়ে নিলে আয়রন শোষণ করা সহজ হয়। স্যালাডে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন, খেতে পারেন ক্যাপসিকাম, পাতে রাখতে পারেন স্ট্রবেরির টুকরোও।
ভাপিয়ে বা রান্না করে খান: কাঁচা পালংশাকে লিউটেইনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি থাকে। তবে পালংশাক ভাপিয়ে বা কম তেলমশলায় রান্না করে খেলে অন্যান্য অনেক পুষ্টিগুণ বেশি পায় শরীর। রান্না করা হলে এতে থাকা অক্সালেট ভেঙে যায়। ফলে শরীরের পক্ষে আয়রন শোষণ করা সহজ হয়।
স্মুদি: পালংশাক ভাপিয়ে, সাঁতলে খেলে ভাল। অল্প তেল-মশলায় আঁচ কমিয়ে রান্না করলেও এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। তবে যত উচ্চ আঁচে, বেশি তেল-মশলায় রান্না করা যায়, গুণ ততই কমে। পালংশাকের পুষ্টিগুণ পেতে হলে স্মুদি খাওয়া যায়। কলা, বেরি জাতীয় ফল, ইয়োগার্ট বা টক দই দিয়ে স্মুদি করে খেতে পারেন পালংশাক।