Constipation Remedies

দই খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য কমে? যন্ত্রণা কমাতে মেশাতে হবে আরও একটি জিনিস

দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন ও নানা রকম টোটকা কাজে লাগিয়েই সুরাহা হচ্ছে না, তাঁদের জন্য সমাধানের একটি উপায় আছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫ ১৭:০২
Share:

দইয়ের সঙ্গে কী মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে? ছবি: ফ্রিপিক।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেরই কাছেই দিনের শুরুটা দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে। অফিসে বেরোনোর তাড়া রয়েছে। সকালে সেই কারণে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকেও উঠেছেন। এত কিছু করেও তাড়াতাড়ি বেরোতে পারলেন না। কারণ অর্ধেক সময় চলে গিয়েছে শৌচালয়েই। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এমন দেরি প্রায়ই হয়ে থাকে। এর থেকে রেহাই পেতে কেউ মুঠো মুঠো ওষুধ খান, আবার কেউ ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখেন। দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা এই সমস্যায় ভুগছেন ও নানা রকম টোটকা কাজে লাগিয়েই সুরাহা হচ্ছে না, তাঁদের জন্য সমাধানের একটি উপায় আছে।

Advertisement

কোষ্ঠকাঠিন্যের একটি অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার শুধু তো কোষ্ঠকাঠিন্য নয়, পেট সংক্রান্ত আরও অনেক সমস্যার জন্য দায়ী বাইরের খাবার। তব শুধু বাইরের খাবার খাওয়া বা জল কম খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়, তা নয়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার ফলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। অনেকেই ব্যথানাশক বিভিন্ন ওষুধ খান। অবসাদ কমানোর ওষুধও খান। সে সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট কমাতে হলে গোড়ার কারণ আগে বুঝতে হবে।

পুষ্টিবিদেরা বলেন, দই খেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। দই হল প্রোবায়োটিক যা খেলে অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় যা হজম করাতে সাহায্য করে। আর হজম যদি ভাল হয়, তা হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমতে বাধ্য। তবে অন্য মতও আছে। অনেক চিকিৎসকই বলেন, কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে খুব বেশি পরিমাণে টক দই খাওয়া শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তো কমবেই না, বরং আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই শুধু দই নয়, এর সঙ্গে মেশাতে হবে তিসির বীজ। আর খেতেও হবে সঠিক সময় মেনে।

Advertisement

দইতে কী মেশাবেন?

১০০ গ্রাম দইয়ের সঙ্গে এক চা-চামচ তিসির বীজের পাউডার মিশিয়ে তা দিনে এক বার খেতে হবে। তা হলে উপকার হবে। তিসি বা ফ্ল্যাক্সসিড হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। এ ছাড়া তিসির বীজে রয়েছে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড। এই সমস্ত উপাদান হার্ট ভাল করে, বিপাক ক্রিয়ার হার ঠিক রাখে। তিসির বীজে ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই দইয়ের সঙ্গে তিসি মিশিয়ে নিলে তা স্বাস্থ্যকরই হবে।

কখন খাবেন?

কোষ্ঠকাঠিন্য আছে বসে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দই-তিসি খেতে শুরু করবেন না। এই খাবার খেতে হবে একটু বেলা করে। অর্থাৎ, সকালের জলখাবার শেষ করে তার পর। দু’টি মিলের মাঝে খেলে উপকার বেশি হবে। তবে বিকেলে বা সন্ধ্যায় এই খাবার খাবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement