দীপিকা পাড়ুকোনের এমন চেহারার নেপথ্যে রয়েছে ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালার ভূমিকাও। সুস্থ থাকতে ইয়াসমিনের পরামর্শ কী? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সকালে উঠে জিম, প্রোটিন শেক। তার পর দৈনন্দিন কাজ। নিয়ম করে জিমে যাওয়া অনেকেই অভ্যাস করে ফেলেছেন। অভ্যাসটি ভাল নিঃসন্দেহে। কিন্তু যাঁরা জিমে যেতে পারেন না, তাঁরা কি তবে ওজন কমাতে পারবেন না, ফিট থাকা হবে না তাঁদের?
জিম নয়, ঘরোয়া তিন পন্থায় সুস্থ থাকার, ওজন কমানোর উপায় শেখাচ্ছেন ইয়াসমিন করাচিওয়ালা। নামটির সঙ্গে আম-আদমির তেমন পরিচিতি না থাকলেও বি-টাউনে তিনি পরিচিত মুখ। আর হবেন না-ই বা কেন? দীপিক পাড়ুকোন থেকে আলিয়া ভট্ট, ক্যাটরিনা কইফকে বিভিন্ন সময় ফিটনেসের প্রশিক্ষণ যে তিনিই দিয়েছেন।
তিন দশক ধরে ফিটনেস জগতের সঙ্গে যুক্ত ইয়াসমিন। অভিজ্ঞতাও যথেষ্ট। সেই ইয়াসমিন কিন্তু কঠিন যোগব্যায়াম বা শারীরিক কসরত নয় বরং সহজ-সরল ব্যায়ামেই আস্থা রাখেন। তাঁর মূল কথা, বেসিক বা শুরুর বিষয়টি সঠিক ভাবে জানলেই হবে। তিনি বলছেন, সুস্থ থাকার এবং ওজন ঝরানোর তিনটি মূলমন্ত্র।
১। শরীরচর্চার প্রাথমিক বিষয়টি ভাল করে জানতে এবং রপ্ত করতে হবে। সেটি না করে অ্যাডভান্সড বা পরের ধাপের শরীরচর্চা ফলদায়ক হতে পারে না। সঠিক ভঙ্গি, শ্বাসের কৌশল ভাল করে রপ্ত না করে, নানা রকম যন্ত্রনির্ভর শরীরচর্চা উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়তে পারে।
২। শরীরচর্চায় কতটা অগ্রসর হচ্ছেন, সে দিকে নজর দেওয়া দরকার। প্রতিটি ধাপ শুরুতেই নিখুঁত হবে, এমন নয়। বরং কতটা নিখুঁত হচ্ছে, সে দিকে নজর না দিয়ে কতটা এগোতে পারছেন, তা ভাবা দরকার। হয়তো প্রথমবার কেউ ওজন তুললেন। সেই সাফল্যই উদ্যাপন করা দরকার। কোনও শরীরচর্চা নিখুঁত করতে গিয়ে থমকে গেলে চলবে না, বরং সময় দিতে হবে। ছোট ছোট প্রাপ্তিও উদ্যাপন করা জরুরি।
৩। ইয়াসমিনের তৃতীয় পরামর্শটি অবাক করাই মতো। কঠোর পরিশ্রম নয়, বরং বিশ্রামের পক্ষপাতী তিনি। কারণও ব্যাখ্যা করেছেন পিলাটেজ় প্রশিক্ষক। জানাচ্ছেন, শরীরচর্চায় পেশির যে শক্তিক্ষয় হয়, বিশ্রাম তা পুনরুজ্জীবনে সাহায্য করে। বিশ্রাম না নিয়ে টানা শারীরিক কসরত করে গেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। ঘুম, স্ট্রেচিং এবং মানসিক ভাবে ফুরফুরে থাকাও এই জন্য খুব জরুরি।
আরও একটি কথা মনে করাচ্ছেন তারকাদের ফিটনেস প্রশিক্ষক। শুরুটা স্বল্প হলেও, তা ধরে রাখা জরুরি। অনেকে শরীরচর্চা জোরকদমে শুরু করলে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন। তা করলে কিন্তু হবে না। একইসঙ্গে বুঝতে হবে শরীরের কথা। শরীর কী চাইছে বুঝতে না পারলে সমস্যা।