ওজন কমানোর টেকসই রাস্তা কোনটি? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে ওজন কমাতে হবে বলে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন অনেকে। ভাত ছেড়ে ব্রাউন রাইস, দই ছেড়ে ইয়োগার্ট, মাখন ছেড়ে অ্যাভোকাডো স্প্রেড, ছাতু ছেড়ে প্রোটিন শেক, রুটি ছেড়ে গ্লুটেনমুক্ত পাউরুটি— যথেষ্ট টাকা খরচ করেই অর্ধেক শান্তি। তার পর শুরু কৃচ্ছ্রসাধন। পেটের চর্বি থেকে গলার মেদ ঝরিয়ে সরু কোমর পাওয়ার শখ। আর তাই লক্ষ্যভেদ করার জন্য অন্য কোনও দিকে তাকাচ্ছেন না। কিন্তু হুট করে এমন পথে হাঁটা শুরু করলে সে পথে বেশি দিন হাঁটতে পারেন না অনেকে। আর তখন পণ্ডশ্রম। তা হলে কী ভাবে বুঝবেন, আপনি ঠিক পথে এগোচ্ছেন কি না? কোনটিই বা সঠিক পথ? টিকে থাকার জন্য কোন রাস্তা ভাল?
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে ডায়েটপ্রেমীদের বিশেষ টিপ্স দিলেন পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর। করিনা কপূর থেকে আলিয়া ভট্টের মতো তারকাদের পরামর্শ দিতেন তিনি। রুজুতা তাঁর ইনস্টাগ্রামে লিখলেন, ঠিক ৫টি লক্ষণ দেখেই বুঝবেন আপনি দীর্ঘমেয়াদি পথে হাঁটছেন না, অথবা এই খাদ্যাভ্যাস আপনার সঙ্গ দেবে না পরবর্তী কালে। এবং এই উপসর্গগুলি দেখা গেলেই বুঝবেন, যতটুকু ওজন আপনি ঝরিয়েছেন, তা আবার ফিরে আসবে।
রুজুতার বলা সেই লক্ষণগুলি কী কী?
১. আপনার থালায় একটি মাত্র পুষ্টি উপাদানের রাজত্ব চলছে। ২০২৫ সালে, মূলত প্রোটিননির্ভর খাবার খায় মানুষ। নিজেরই অজান্তে খাওয়ার পাতের ভারসাম্য নষ্ট করছেন। ফলে ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে অন্ত্রেও।
২. নিয়মিত যতটুকু সুস্বাদু, মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত, সেটি বাদ পড়ে যাচ্ছে। আর তাই প্রতি রাতে মুখরোচক, মশলাদার খাবারের জন্য মন আনচান করছে।
৩. সারা ক্ষণ দুশ্চিন্তা, বেশি খেয়ে ফেললেন কি! আর তার পর ভাত, রুটি সব বাদ দিয়ে দিচ্ছেন। আপনি ওজন কমাতে চাইছেন, কিন্তু কমে যাচ্ছে আপনার আত্মবিশ্বাস।
৪. গণপতির পুজোয় মোদক, ইদে শির খুরমা, ক্রিসমাসে কেক— এমন পরিকল্পনা করে ফেলেছেন আপনি। উৎসব মানেই আপনার কাছে ‘চিট ডে’। বাকিদের নিয়ে ভাবতেও চাইছেন না আর।
৫. আপনার রান্নাঘরে বা ফ্রিজে রয়েছে প্রোবায়োটিক ড্রিঙ্ক, প্রিবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট, হজম করানোর ওষুধ। আপনার মনে পড়ছে না, শেষ কবে পেটে কোনও অস্বস্তি ছিল না। কারণ এখন সারা দিনই মনে হয়, পেট ভাল নেই।
শেষে রুজুতা লেখেন, ‘‘খাবার আমাদের সংস্কৃতি, গোষ্ঠী, রন্ধনপ্রণালীর অঙ্গ। ওজন কমানোর জন্য বাড়ির খাবার সবচেয়ে সহজ, সাশ্রয়ী এবং কার্যকরী উপায়। মনে রাখবেন, ওজনহ্রাস জীবনের একমাত্র লক্ষ্য যেন না হয়ে ওঠে।’’