Stroke Symptoms

শরীরের একদিকে ব্যথা, যখন-তখন মাথা ঘোরার সমস্যাও কি হতে পারে স্ট্রোকের লক্ষণ? উপসর্গ চিনে নিন

ব্রেন স্ট্রোক বলেকয়ে আসে না। এর উপসর্গও সকলের ক্ষেত্রে এক রকম নয়। তাই স্ট্রোকের কী কী লক্ষণ হতে পারে তা চিনে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫৪
Share:

লাগাতার ভার্টিগো, কথা জড়িয়ে যাওয়া কি স্ট্রোকের লক্ষণ? ছবি: এআই।

কথা বলতে বলতে আচমকা জিভ অবশ হয়ে গেল, হাত তুলে বোঝানোর চেষ্টা করতে গিয়ে দেখলেন হাত তোলাও অসম্ভব। শরীরের এক পাশ অসাড় হয়ে গেল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার সব আগের মতোই স্বাভাবিক। তাই সে যাত্রায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা মাথাতেই এল না। পরে আচমকাই একদিন বড়সড় স্ট্রোকের ধাক্কা প্রাণসংশয় বাড়িয়ে দিল। ব্রেন স্ট্রোক বলেকয়ে আসে না। এর উপসর্গও সকলের ক্ষেত্রে এক রকম নয়। তাই স্ট্রোকের কী কী লক্ষণ হতে পারে তা চিনে নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

Advertisement

লাগাতার ভার্টিগো, কথা জড়িয়ে যাওয়া কি স্ট্রোকের লক্ষণ?

স্ট্রোক এমনই এক অসুখ, যার লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রেই আগে থেকে বোঝা যায় না। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, বড়সড় স্ট্রোকের ধাক্কা আসার আগে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। সেগুলি চিনতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

Advertisement

কী কী উপসর্গ দেখা দেয়? আচমকা মাথা ঘুরতে থাকবে। দাঁড়িয়ে থেকে, বসে থাকার সময়ে বা কম্পিউটারে কাজ করার সময়ে মাথা ঘুরে চোখে অন্ধকার দেখতে পারেন। কিছু সময়ের জন্য তা হবে। এমন যদি লাগাতার হতে থাকে তা হলে সতর্ক হতে হবে।

শরীরের এক দিকে ব্যথা হবে। যেমন, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ বা শরীরের বাঁ দিকের অংশে ব্যথা, সেই দিকে অসাড় ভাব দেখা দিতে থাকবে।

মুখের পেশির কম্পন হবে মাঝেমধ্যেই। কথা বলার সময়ে মনে হতে পারে মুখ বেঁকে যাচ্ছে। মুখের পেশির অসাড়তা স্ট্রোকের অন্যতম বড় লক্ষণ।

দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকবে। মাঝেমধ্যেই দেখবেন, চোখের সামনে সব কিছু ঝাপসা লাগছে অথবা ডবল ভিশনের সমস্যা দেখা দেবে।

মাথায় যন্ত্রণা প্রায়ই হবে। একে অনেকে মাইগ্রেনের ব্যথা ভেবে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলেন। তাতে বিপদ আরও বাড়ে।

কথা বলার সময়ে জিভ ভারী লাগবে, মনে হবে কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। এমন সমস্যা যদি প্রায়ই হয় তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

হাঁটাচলা করা, দৌড়োনো সবকিছুরই সঙ্কেতই আসে মস্তিষ্ক থেকে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমতে শুরু করলে তা পেশিতেও প্রভাব ফেলে। পেশি শক্ত হয়ে যেতে শুরু করে। তাই হাত-পা নাড়াতেও তখন সমস্যা হয়। এমন সমস্যা যদি অনুভব করেন, সে সময়েই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। অপেক্ষা করলেই বাড়তে পারে বিপদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement