সুগন্ধি থেকে ত্বকে র্যাশ, ফুস্কুড়ি, সারবে কী উপায়ে? ছবি: ফ্রিপিক।
ত্বকে সরাসরি সুগন্ধি লাগানোর অভ্যাস আছে? গন্ধ দীর্ঘ ক্ষণ টিকিয়ে রাখতে অনেকেই ত্বকের উপরে সুগন্ধি স্প্রে করেন। এর থেকে ত্বকের অ্যালার্জি হতে পারে। ঘাড়ে-গলায় কালচে ছোপ পড়তে পারে। এমন অনেকে আছেন, যাঁদের সংগ্রহে নামী ব্র্যান্ডের বহুমূল্য দেশি-বিদেশি সুগন্ধি আছে। সেগুলি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করেন। যতটা পাল্স পয়েন্টে না মাখলেই নয়, তার চেয়ে বেশি সারা ত্বকে, জামাকাপড়ে মেখে ফেলেন। এর ফল হয় ভয়ঙ্কর। হয়তো আপনার সহকর্মী বা বন্ধুবান্ধব সেই সুগন্ধে মুগ্ধ হচ্ছেন ঠিকই, তবে তা আপনার ত্বকের জন্য বিষাক্ত হয়ে উঠছে। অতিরিক্ত সুগন্ধি থেকে যে চর্মরোগ হতে পারে, তার নাম ‘অ্যালার্জিক কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস’। কানের পিছনে, হাতে লালচে র্যাশের মতো দেখা দেবে। তা সারতেও চাইবে না সহজে।
সুগন্ধি মেখে ত্বকে র্যাশ হলে সারবে কী উপায়ে?
সুগন্ধি কেনার আগে লেবেলটি ভাল করে পড়ুন। জানুন, কী কী উপাদান আছে তাতে। কোনগুলিতে আপনার অ্যালার্জি, তা যাচাই করে নিন।
সুগন্ধি সরাসরি ত্বকে স্প্রে না করে আগে আগে কিছু দিন কানের পিছনে বা কনুইয়ের কাছে লাগিয়ে দেখুন। অন্তত ১২-২৪ ঘণ্টা দেখতে হবে, ত্বকে কোনও প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না।
একটি পাতলা সুতির কাপড়ে কয়েকটি বরফের টুকরো নিয়ে ত্বকের যেখানে জ্বালা করছে সেখানে ১০-১৫ মিনিট ধরে রাখুন। এতে জ্বালাপোড়া ভাব কমবে। ঠান্ডা দুধও এ ধরনের সমস্যায় খুব আরাম দেয়।
স্নানের জলে কয়েকটি নিম পাতা আগে থেকে ফেলে রাখতে পারেন। আবার, নিম পাতা ফোটানো জল তুলোয় করে র্যাশের জায়গায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাতেও উপকার হবে।
কাঁচা হলুদের প্রদাহনাশক গুণ ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জির সমস্যা দূর করে। কাঁচা হলুদ বাটা বা হলুদ গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে র্যাশের উপর লাগালে অস্বস্তি অনেকটাই দূর করতে পারে।