Food For Lungs Health

শীতের দিনে দূষণ থেকে ফুসফুসকে বাঁচাবে, এমন ৫ খাবার তালিকায় রাখুন

ফুসফুসের অসুখবিসুখ হলে ওষুধ খেতেই হবে। তবে দৈনন্দিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের সুরক্ষাবর্ম হয়ে ওঠে। দূষণের কবল থেকে ফুসফুস ভাল রাখতে হলে পাতে কী রাখা প্রয়োজন?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:১০
Share:

ঘরোয়া কোন উপায়ে ভাল থাকবে ফুসফুস। ছবি: সংগৃহীত।

শীত এলেই বাতাসে বেড়ে যায় ধূলিকণার মাত্রা। রাস্তার ধুলো, যানবাহনের ধুলো বাতাসে মেশে, আর তা থেকেই দূষণ ছড়ায়। রয়েছে আরও নানা উৎস। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা সরাসরি ফুসফুসে আঘাত হানে।

Advertisement

দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান দূষণ নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকেরা। বিশেষত ফুসফুসের অসুখে যাঁরা ভুগছেন তাঁদের জন্য শীতকালের বাড়তি দূষণ আরও ক্ষতিকর হয়ে ওঠ। হাঁপানির রোগীরাও এই সময়ে বেশি কষ্ট পান। সমস্যার সমাধানে উপযুক্ত চিকিৎসা অবশ্যই জরুরি, তবে অনেক সময় ঘরোয়া টোটকা বা পুষ্টিকর খাবারও বিভিন্ন প্রত্যঙ্গগুলির সুরক্ষাবর্ম হয়ে উঠতে পারে। ঘরোয়া পন্থায় ফুসফুস ভাল রাখতে হলে তালিকায় রাখুন ৫ খাবার।

আমলকি: হাঁপানি বা সিওপিডির মতো ফুসফুসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে যদি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। তা কমিয়ে সুরক্ষা বর্ম তৈরি করতে পারে আমলকি। ছোট্ট ফলটির গুণের শেষ নেই। ভিটামিন, খনিজ মেলে প্রচুর। এ ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ফুসফুসের প্রহাহ কমাতে হলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সম্পন্ন খাবার খাওয়া জরুরি। ফলে তালিকায় রাখতে পারেন আমলকি। এতে থাকা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। জ্বর, ছোটখাটো সংক্রমণ থেকেও শরীরকে রক্ষা করে এতে থাকা ভিটামিন সি।

Advertisement

তুলসী: তুলসী পাতা ফোটানো জল কিংবা তুলসীর রস ঘরোয়া টোটকা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে বহু দিন। তুলসীর পুষ্টিগুণ নেহাত কম নয়। তুলসী পাতায় থাকা ইউজেনল, ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আদা: আদা থেঁতো জলে ফুটিয়ে খেলে হালকা ঝাঁজ লাগে। গলায় আরাম হয়। আদার মধ্যে আছে ব্যাক্টেরিয়া ও নানা ধরনের জীবাণুর সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান, যা ফুসফুসের বায়ু চলাচল পথকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। বলা যায়, আদা হল ফুসফুসের সাফাইকর্মী। মূলত কাশি হলে বা দূষিত বাতাস শরীরে গেলে শ্বাসের কষ্ট হয়। আদা চায়ে চুমুক দিলে এমন পরিস্থিতিতে আরাম মিলতে পারে। কারণ, আদা ফুসফুসের বাতাস চলাচলের পথগুলিকে পরিষ্কার করে দিতে পারে।

গাজর: বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায় গাজরে, যা থেকে ভিটামিন এ তৈরি হয়। আবার,ফুসফুসে থাকা মিউকাস পর্দা ধুলো এবং অন্যান্য কণা আটকে ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এই পর্দাটি রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করে গাজরে থাকা ভিটামিন।

বিট: বিটে রয়েছে বিটেলেইনের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এটি ফুসফুসের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। দূষণে শ্বাসকষ্ট হয় অনেকের, বিটে থাকা উপাদান অক্সিজেন সংবহণে সাহায্য করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement