রকুল প্রীত সিংহ এবং জ্যাকি ভগনানির ফিটনেস রহস্য। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরচর্চা এবং খাওয়াদাওয়া— এই নাকি ছিল দুই মনের মিলনের পথ। রকুল প্রীত সিংহ এবং জ্যাকি ভগনানির প্রেমের গল্প খানিক এমনই। তাই তাঁদের জীবন ঘিরে রয়েছে ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের প্রসঙ্গ। সম্প্রতি পরিচালক-প্রযোজক ফরাহ খানের সঙ্গে কথা বলার সময়ে তাই সেই সব প্রসঙ্গ বার বার উঠে এসেছে। তাতেই জানা যায়, তারকাদম্পতি জাঙ্ক ফুডের প্রতিও আসক্ত। তাঁরা নানা রকম খাবার খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু খানাপিনায় যদি লাগাম না টানেন, তা হলে কাজের ক্ষতি পারে দু’জনেরই। তাই তাঁদের ইচ্ছা এবং প্রয়োজনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করেন যুগল।
সেই কথোপোকথনের সময়েই দুই তারকার থেকে জানা গেল তাঁদের গোপন এক কৌশলের কথা। তাঁরা মনে মনে খান। শুনে আজব মনে হতে পারে। কিন্তু ইংরেজিতে এবং চিকিৎসাজগতে যাকে ‘সাইকোসোম্যাটিক ইটিং’ বলা হয়, তার-ই এক ধরন বলা যেতে পারে একে। ‘সাইকোসোম্যাটিক ইটিং’-এর অর্থ হল, যেখানে আবেগগত এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলি খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করে। প্রায়শই মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা অন্যান্য মানসিক অবস্থার প্রতিক্রিয়ায় খাবারের মাধ্যমে আরাম বা তৃপ্তি খোঁজার চেষ্টা করেন অনেকে। আর তাকেই বলা হয় ‘সাইকোসোম্যাটিক ইটিং’। এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস মন এবং শরীরের জটিল সম্পর্ককে স্পষ্ট করে তোলে। নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়, যেগুলিতে সাধারণত ফ্যাট এবং চিনি থাকে।
কিন্তু এই ‘সাইকোসোম্যাটিক ইটিং’-এর ইতিবাচক দিকটিকে তুলে ধরেছেন রকুল ও জ্যাকি। অভিনেতার কথায়, ‘‘আমাদের যখন জাঙ্ক ফুড খেতে ইচ্ছে করে, বিভিন্ন অ্যাপে গিয়ে পছন্দের খাবারের ছবি আর নাম দেখতে থাকি।’’ রকুল জানালেন, এমন ঘটনা সাধারণত রাত ১১টা নাগাদ ঘটতে থাকে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা খুব তা়ড়াতাড়ি রাতের খাবার খাই, ৭টা-৮টা নাগাদ। তাই কোনও কোনও দিন হঠাৎ খাওয়ার ইচ্ছে জাগে। তাই আমরা খাবার দেখে দেখে মনে করি, সেগুলি খেয়েছি আর পেট ভরে গিয়েছে। আমরা দু’জনেই খেতে খুব ভালবাসি।’’
সুতরাং খিদে পেলেই সঙ্গে সঙ্গে খাবারের দিকে হাত না বাড়িয়ে নিজেদের আবেগগুলি চিহ্নিত করে মননশীলতা অনুশীলন করেন রকুল ও জ্যাকি। ভিডিয়ো বা খাবারের ছবি দেখে খিদের মোকাবিলা করার কৌশল শেখালেন যুগল। এতে খাবারের উপর অহেতুক নির্ভরতা হ্রাস পেতে পারে।