সামান্থা রুথ প্রভুর স্বাস্থ্যরক্ষা। ছবি: সংগৃহীত।
অটোইমিউন রোগের সঙ্গে লড়াই করেছেন সামান্থা রুথ প্রভু। এই যুদ্ধ নাকি আজীবন চলবে। এমন রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য যাপনে বড়সড় বদল এনেছেন দক্ষিণী তারকা। খাওয়াদাওয়া, যোগাসন করে স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখেন তিনি। পাশাপাশি, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য নানা রকম অনুশীলন করে চলেন সামান্থা। মেপে মেপে খাবার খেতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে তিনি জানালেন, তাঁর রোজের খাদ্যাভ্যাসে প্রোটিনের পরিমাণ ১০০ গ্রাম। এ দিকে সামান্থার ওজন ৫০ কিলোগ্রাম। পডকাস্টে সামান্থার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় ছিলেন পুষ্টিবিদ রাশি চৌধরি। এই কথোপকথনের পর প্রশ্ন ওঠে, এক জন ভারতীয় মহিলার জন্য কী পরিমাণ প্রোটিন আদর্শ? সেই পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণের জন্য কী খাওয়া উচিত?
রাশি জানালেন, ৫০-৬০ কেজি ওজনের ভারতীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের পরিমাণ হওয়া উচিত, ৬০-৮০ গ্রাম। সঠিক খাবার খেয়ে সেই চাহিদা মেটানো কঠিন নয় বলেই মত পুষ্টিবিদের। অনেকেই উচ্চমানের প্রোটিন পাউডারের উপর ভরসা রাখেন। কেউ কেউ আবার প্রোটিন পাউডারের চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করে চাহিদা মেটানোর পক্ষপাতী। আর তাঁদের জন্য সহজ নিয়ম বাতলে দিলেন রাশি। পুষ্টিবিদের কথায়, ‘‘২০০ গ্রাম ফেটানো টকদই (জল ছেঁকে নেওয়া), ১৫০ গ্রাম পনির এবং তিন কাপ (৬০০ গ্রাম) ঘন ডাল। এই খাবারের মধ্যে মোট প্রোটিনের পরিমাণ রয়েছে ৬০-৮০ গ্রাম।’’ ফলে অনেকেই ঘরোয়া খাবারে ভরসা রেখে প্রোটিনের দাবি মেটাতে পারেন।
প্রোটিন শরীরের পেশি গঠন, কোষ মেরামত, চুল ও ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখা, এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতেও অপরিহার্য। তবে শুধু প্রোটিন খেলেই হবে না, শরীর তা কতখানি শোষণ করতে পারছে, সেটিই আসল বিষয়। পুষ্টিবিদ রাশি জানাচ্ছেন, প্রোটিন ঠিকমতো কাজে লাগাতে হলে অন্ত্র পরিষ্কার ও হজম প্রক্রিয়া ভাল থাকতে হবে। অন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হলে যত ভাল প্রোটিনই খান, শরীর তা ব্যবহার করতে পারবে না।
যদিও অনেক চিকিৎসকের দাবি, এই পরিমাণটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত নয়। ব্যক্তিবিশেষে পরিস্থিতি, শারীরিক অবস্থার উপর তা নির্ভর করে। অনেকেরই অন্ত্রের সমস্যা থাকে, তাই বেশি পরিমাণ প্রোটিন খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে নিজে থেকে দৈনিক ৮০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া শুরু না করে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।