রোজের কোন কোন খাবার থেকে ব্যাক্টেরিয়া ছড়াতে পারে? ছবি: এআই।
করোনার সময়ে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর বেশি দেওয়া হত। কিন্তু কোভিড- উদ্বেগ কমে যাওয়ার পরে সেই প্রবণতা কমে গিয়েছে অনেকটাই। বসার বা শোয়ার ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার যতখানি প্রচেষ্টা দেখা যায়, রান্নাঘরের ক্ষেত্রে ততটা নয়। কাঁচা মাছ, মাংস বা শাকসব্জি ঠিক মতো ধুয়ে রান্না করা বা সংরক্ষণ করে রাখাও জরুরি। অনেকেই জানেন না, রোজের বেশ কিছু খাবার থেকেও ছড়াতে পারে সালমোনেল্লা ব্যাক্টেরিয়া। এই ব্যাক্টেরিয়াই খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ। শুধু যে বাসি বা দূষিত খাবার থেকেই ব্যাক্টেরিয়া ছড়াবে, তা নয়। আর কোন কোন খাবার থেকে জীবাণু সংক্রমণ ঘটতে পারে, তা জেনে রাখা জরুরি।
শাকপাতা রান্নার সময়ে সাবধান
কলমিশাক, পালং, পুঁই বা নটে শাক রান্নার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। এমনকি ধনেপাতা, কারিপাতা ও আরও নানা ধরনের শাকপাতা রান্নার আগে তা নুন-জলে ধোয়া জরুরি। শাকের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে খুব তাড়াতাড়ি। শুধু সালমোনেল্লা নয়, ই কোলাই, সাইক্লোস্পোরা ব্যাক্টেরিয়ার বংশবৃদ্ধিও ঘটে দ্রুত।
মশলাপাতি ঠিক মতো সংরক্ষণ করেন তো
মশলা সব সময়ে পরিষ্কার কাচের বা কাঠের পাত্রে রাখা উচিত। ভেজা চামচ দিয়ে মশলা তুললে বা পাত্র যদি ভিজে, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় রাখেন, তা হলে সেখানে সালমোনেল্লার মতো ব্যাক্টেরিয়ার উপদ্রব বাড়বে। ধনেগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো , গোলমরিচের গুঁড়ো, তিল বা তিসির বীজ, অরিগ্যানো, গরমমশলার গুঁড়োতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ দ্রুত ঘটে।
ডিম
ডিমের খোলা বা কুসুমে সালমোনেল্লা টাইফিমিউরিয়াম ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। তাই ডিম ভাল করে সেদ্ধ করে খাওয়াই উচিত। কাঁচা ডিম দিয়ে যে কোনও রান্না করার সময়ে, যেমন কেক বা ডিমের ব্যাটার তৈরির সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাজার থেকে ফাটা ডিম কখনও কিনবেন না।
বাদামের মাখন
পিনাট বাটার খুবই স্বাস্থ্যকর, তবে এতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ দ্রুত ঘটে। তাই বাড়িতে পিনাট বাটার থাকলে, সেই কৌটো ভাল করে সংরক্ষণ করুন। পিনাট বাটারে তৈরি খাবার যেমন কুকিজ় বা আইসক্রিম খাওয়ার আগে তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময় দেখে নেওয়া জরুরি।
অঙ্কুরিত ছোলা, মুগ
কাঁচা ছোলা, অঙ্কুরিত মুগ দিয়ে স্যালাড বা স্যান্ডউইচ খান অনেকেই। সে ক্ষেত্রে টাটকা ছোলা বা মুগ খাওয়াই ভাল। ফ্রিজে রেখে দেওয়া বাসি খাবার বা দীর্ঘ সময় ফেলে রেখে খেলে তার থেকে সালমোনেল্লা ও ই কোলাই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে।