ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
শীতের সময় শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন বেলা ছোট এবং রাত বড়। তার ফলে অনেক সময়েই রাতের খাবার খেতে দেরি হয়। শীতের সময়ে দেরি করে রাতের খাবার খেলে শরীরে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। তাই বছরের এই সময়ে রাতের খাবারের সময় বদলে ফেলা উচিত।
মানুষের দেহ নিয়ন্ত্রণ করে ‘সির্কাডিয়ান রিদ্ম’ (দেহের নিজস্ব ঘড়ি)। এই চক্রের মাধ্যমে ঘুম, মেটাবলিজ়ম, সকালে ঘুম থেকে ওঠার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই রাতের খাবার সঠিক সময়ে খাওয়ার উপর স্বাস্থ্যের উন্নতি নির্ভর করে। চিকিৎসকেদের মতে, রাত ১০টায় যাঁরা খাবার খান, তাঁদের তুলনায় যাঁরা সন্ধ্যা ছ’টায় দিনের শেষ খাবার খাচ্ছেন, তাঁদের রক্ত শর্করার পরিমাণ ২০ শতাংশ কমেছে। আবার দেহের মেদও ১০ শতাংশ কমেছে।
কেন দ্রুত ডিনার
শীতকালে দ্রুত সূর্যাস্তের কারণে দেহে সেরোটোনিনের মাত্রা কমতে পারে। তার ফলে মুড সুইং এবং আলস্য অনুভূত হতে পারে। তার ফলে অনেকেই সন্ধ্যার পর বেশি ক্ষণ বাড়িতে থাকেন। বৃদ্ধি পায় জলখাবারের পরিমাণ। ফলে রাতের খাবারের সময় আরও পিছিয়ে যায়। তার ফলে হজমের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এই অভ্যাস দেহে হরমোনের ক্ষরণে ব্যঘাত ঘটাতে পারে।
৩টি কারণ
১) রাত যত গভীর হয়, মেটাবলিজ়মের হার ততই ধীর হতে শুরু করে। তাই শীতের সময়ে দ্রুত রাতের খাবার খেলে তা হজমও হয় সহজেই।
২) রাতের খাবার এবং ঘুমের মধ্যে যদি ২-৩ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা যায়, তা হলে হজমের সমস্যা তৈরি হয় না। ফলে রাতে ভাল ঘুম হয়।
৩) নিয়মিত রাতের খাবার সন্ধ্যার পর পর খেতে পারলে শরীরও তার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়। ফলে সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।