ঘন ঘন চায়ের কাপে চুমুক নয়। ছবি: সংগৃহীত।
চায়ের কাপে চুমুক না দিলে বাঙালির দিন শুরু হয় না। আড্ডার আসরে চায়ের তুফান না উঠলে মজলিশ জমে না। ঠিক তেমনই প্রিয়জনের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতেও সঙ্গে চা থাকলে আবহটাই বদলে যায়। চায়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক নিবিড়। চা যে মনের যত্ন নেয়, সে কথা ভুল নয়। চায়ের সঙ্গে কারও প্রেম এতটাই গভীর যে সারা দিন চা ছাড়া তাঁদের চলে না। কিন্তু অত্যধিক চা খাওয়ার এই প্রবণতা আবার ডেকে আনতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা।
ঘুমের বিঘ্ন ঘটে
চায়ে থাকা ট্যানিন মস্তিষ্কের প্রতিটি স্নায়ুকে সজাগ করে তোলে। পরীক্ষার আগে রাতে জেগে থাকতে অনেকেই ভরসা রাখেন চায়ের উপর। কিন্তু বছরভর না ঘুমিয়ে থাকা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। ঘন ঘন চা খেলে স্নায়ু সজীব থাকে। ফলে সহজে ঘুম আসে না। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে চা খেতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা।
বুকজ্বালা
পরিমাণে কম হলেও চায়ে ট্যানিন রয়েছে। ট্যানিন অ্যাসিড ক্ষরণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে বুক জ্বালার সমস্যা শুরু হতে পারে। অন্ত্রে অ্যাসিড উৎপাদনের পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে পারে ট্যানিন। সুস্থ থাকতে তাই বেশি চা না খাওয়াই শ্রেয়।
মাত্রাতিরিক্ত হারে চা খেলে মাথাযন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
মাথাব্যথা
মাথার যন্ত্রণা কমাতে চায়ে চুমুক দেন অনেকেই। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত হারে চা খেলে আবার উল্টে মাথাযন্ত্রণা বেড়ে যেতে পারে। রোজ ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
ক্লান্তি
শরীর চনমনে রাখতে চায়ের বিকল্প নেই। কিন্তু সারা দিন ধরে চা খেলে সমস্যা হতে হতে পারে। দিনে প্রায় ৬ থেকে ১২ কাপ চা খাচ্ছেন মানে রোজ ৪০০-৫০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন প্রবেশ করছে শরীরে। এর ফলে শরীর ভিতর থেকে চাঙ্গা থাকার বদলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।