Milk Test

শিশুকে যে দুধ খাওয়াচ্ছেন তাতে ভেজাল নেই তো? ৫টি পরীক্ষায় যাচাই করে নিন কতটা খাঁটি

ভেজাল দুধ খেলে পুষ্টিগুণের তো প্রশ্নই নেই উল্টে লিভার খারাপ হওয়াও আশ্চর্যের নয়। দীর্ঘ দন এই প্রকার দুধ খেলে লিভার, হার্ট, কিডনি সবই খারাপ হতে পারে। বাঁচার উপায় কী?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০৭
Share:

দুধে ভেজাল আটকাতে না পারলেও কিছু ঘরোয়া টোটকায় দুধ খাঁটি কি না, তা সহজেই বুঝে যাবেন। ছবি: শাটারস্টক।

শিশুকে যেই দুধ খাওয়াচ্ছেন, সেটা আদৌ খাঁটি তো? মনে এই প্রশ্ন কমবেশি সকলেরই জাগে। তবে পরীক্ষা করার উপায় কী?

Advertisement

দুধে যে ধরনের ভেজাল মিশছে তাতে ইউরিয়া অন্যতম। চিকিৎসকদের মতে, এতে কিডনিতে ইউরিয়া বেড়ে গিয়ে কিডনি নষ্ট হতে পারে। শুধু ইউরিয়াই নয়, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সামান্য লাভের আশায় দুধে কস্টিক সোডা মিশিয়ে থাকেন, তাতে খাদ্যনালিতে সংক্রমণ, গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া-সহ নানা অসুখ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। ভেজাল দুধ খেলে পুষ্টিগুণের তো প্রশ্নই নেই, উল্টে লিভার খারাপ হওয়াও আশ্চর্যের নয়। ভেজাল দুধে ফর্মালিনও মেশানো হয়। দীর্ঘ দিন এই প্রকার দুধ খেলে লিভার, হার্ট, কিডনি সবই খারাপ হতে পারে। এমনকি, এ সব বিষক্রিয়ায় ক্যানসারেও ঝুঁকিও বেড়ে যায় অনেকখানি।

দুধে ভেজাল আটকাতে না পারলেও কিছু ঘরোয়া টোটকায় দুধ খাঁটি কি না, তা সহজেই বুঝে যাবেন। দেখে নিন সে সব ঘরোয়া উপায়।

Advertisement

১) একটু দুধ মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন গড়িয়ে গিয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে এ দুধ খাঁটি। অশুদ্ধ হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।

২) দুধ গরম করতে গেলেই কি হলদেটে হয়ে যাচ্ছে? তা হলে এ দুধ খাঁটি নয়। এতে মিশেছে কার্বোহাইড্রেট। বাড়িতেই করে ফেলুন স্টার্চ পরীক্ষা। একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ নুন মেশান। যদি নুনের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন, ওই দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।

দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে কি না, তা ঘরোয়া উপায়ে নির্ণয় একটু কঠিন। ছবি: শাটারস্টক

৩) দুধে ফর্মালিন রয়েছে কি না, তা বুঝবেন কী করে? দুধে সামান্য সালফিউরিক অ্যাসিড মেশান। যদি রং বদলে নীল হয়ে যায়, তবে নিশ্চিত সেই দুধে ফর্মালিন আছে।

৪) দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে কি না, তা ঘরোয়া উপায়ে নির্ণয় একটু কঠিন। তবে একান্তই বুঝতে চাইলে এক চামচ দুধে সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছু ক্ষণ রেখে এতে লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস ডোবাতেই লাল লিটমাস নীল হয়, তবে বুঝবেন ইউরিয়া রয়েছে সেই দুধে।

৫) দুধের সমান জল মেশান একটি শিশিতে। এ বার শিশির মুখ বন্ধ করে জোরে ঝাঁকান। অস্বাভাবিক ফেনা হলেই বুঝবেন, দুধে মেশানো আছে ডিটারজেন্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন