প্রোটিন, ফাইবার, খনিজে ভরপুর ডাল খাওয়া অত্যন্ত ভাল।নিরামিষ বা আমিষ যে খাবারেই অভ্যস্ত হন না কেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরা ডাল খেতে বলেন। কিন্তু মুশকিল হল কারও কারও ডাল হজম করতে সমস্যা হয়। ডাল খেলেই পেট ভার হয়, পেট ফুলে যায়।
এই সমস্যার সমাধানের উপায় বাতলেছেন পুষ্টিবিদ খুশি ছাবড়া। সমাজমাধ্যমে সহজ দু’টি উপায় বলেছেন তিনি। সেই কৌশল মানলে হজমের সমস্যা যেমন দূর হবে তবে রক্তে শর্করার মাত্রাও হঠাৎ করে বাড়বে না। ডালের পুষ্টিগুণও সঠিকমাত্রায় শোষণ করতে পারবে শরীর। পুষ্টিবিদের কথায়, নানা ধরনের ডালের মধ্যে হলুদ মুগডাল হজম করা অপেক্ষাকৃত সহজ। যাঁদের ডাল খেলে সমস্যা হয় পুষ্টিবিদের পরামর্শ সবুজ মুগ, অড়হর ডাল বাদ দেওয়ার। বদলে সপ্তাহে এক বা দু’দিন মুগ ডাল খাওয়ার। তাঁর কথায়, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে ঠিক করতে হবে। একেবারে বেশি ডাল না খেয়ে অল্প করে খেয়ে শরীরকে সওয়াতে হবে।
রান্নার আগে ডাল ধুয়ে নেওয়াই নিয়ম। এর ফলে ডালে থাকা ধুলোবালি দূর হয়। খুশি জানাচ্ছেন, ডাল ভিজিয়ে খেলে এতে থাকা লেকটিনস কমে যায়, ফলে হজমের সমস্যাও কমে। লেকটিনস হল এক ধরনের প্রোটিন যা হজম করতে কারও কারও সমস্যা হয়।
পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক জানাচ্ছেন রান্নার আগে কিছু ক্ষণ ডাল ভিজিয়ে রাখলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব। ডাল ভিজিয়ে রেখে তার পর রান্না করে খেলে বদহজমের সমস্যা কমানো যেতে পারে। কারণ, এতে বদহজমের কারণ, অলিগোস্যাকারাইডস (শর্করা) বাদ চলে যায়। তা ছাড়া, ডালের পুষ্টিগুণ শোষণ করা শরীরের পক্ষে সহজ হয়।
রক্তে শর্করা বশে রাখতে
ডালেও কার্বোহাইড্রেট থাকে। ফলে নিয়ম মেনে না খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাল সেদ্ধ করার সময় ১ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে দিতে বলছেন পুষ্টিবিদ খুশি। তিনি জানাচ্ছেন, এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বশে থাকবে, ডালের পুষ্টি উপাদান শরীরের পক্ষে শোষণ করা সহজ হবে। ফোড়নে আদা এবং হিং ব্যবহার করলেও তা হজমে সহায়ক হতে পারে।