বয়স বাড়লেও মস্তিষ্ক থাকবে সচল। কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
বয়স হলেও তারুণ্য ঠেকিয়ে রাখার উপায় আছে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা বলেন, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার, বা যে সব জিনিস খেলে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, সেগুলি পাতে রাখলেই বজায় থাকে ত্বকের জেল্লা। সঠিক ডায়েটেই লুকিয়ে তারুণ্যের চাবিকাঠি।
ত্বকের যেমন বয়স বাড়ে, তেমনই কিন্তু মস্তিষ্কেরও বয়স বৃদ্ধি হয়। মস্তিষ্ক বুড়ো হলে কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি। কমে যায় বুদ্ধিও। তবে চাইলে মস্তিষ্কের বার্ধক্যের গতি খানিক শ্লথ করে দেওয়া যায় বিশেষ খাওয়া-দাওয়ায়। সময় থাকতে থাকতে চার খাবার পাতে রাখলেও বয়সকালেও মস্তিষ্ক থাকবে চনমনে, শরীর হবে সতেজ।
টাটকা সব্জি: প্রতি দিন পাতে নিয়ম করে রাখতে হবে পালং শাক, ব্রকোলি, লেটুস, বাঁধাকপি, পার্সলে, ধনেপাতার মতো টাটকা শাকসব্জি।এই সমস্ত খাবারে মেলে ভিটামিন ই, ফোলেট, ক্যারোটিনয়েডস, ফ্ল্যাভোনয়েডস-এর মতো উপাদান, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সবুজ শাকসব্জি খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ভাল থাকে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি কমায়।
তৈলাক্ত মাছ: বেশির ভাগ মাছই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তবে তৈলাক্ত মাছ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এতে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ক্ষেত্রে ম্যাকারেল, সার্ডিন অত্যন্ত উপকারী। তবে এই ধরনের মাছ ভারতে কমই খাওয়া হয়। ইলিশ, সুরমাই— এই মাছগুলিও বদলে খাওয়া যায়।
লেবু, বেরি: বিভিন্ন রকম লেবু, বেরি জাতীয় ফলও মস্তিষ্কের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে থাকা ভিটামিন সি নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়ক। কলায় মেলে পটাশিয়াম, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। তা ছাড়া, বেরি জাতীয় ফল তালিকায় রাখলেও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি জাতীয় ফলগুলিতে মেলে ফ্ল্যাভোনয়েডস, পলিফেনলস। মস্তিষ্কের কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এই উপাদানগুলির ভূমিকা রয়েছে।