মৎস্যেন্দ্রাসন অভ্যাসে স্নায়ুর রোগের ঝুঁকি কমবে। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
স্নায়বিক রোগের ঝুঁকি ইদানীংকালে বেশ বাড়ছে। গিয়ান-ব্যারে রোগের পর ‘বিকারস্টাফ ব্রেনস্টেম এনসেফেলাইটিস’ (বিবিই)-এর মতো বিরল স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হতেও দেখা গিয়েছে। এর পিছনে নানা কারণ রয়েছে। দুর্ঘটনা বা আঘাতজনিত কারণে স্নায়ুর রোগ বাড়ছে, তা ছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, রোগলক্ষণ দেখেও এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তাও এর কারণ। এই সব থেকে রেহাই পেতে গেলে নিয়মিত যোগাসন করারই পরামর্শ দিচ্ছেন প্রশিক্ষকেরা। স্নায়ুর জোর বাড়াতে যে আসনগুলি উপকারী, তার মধ্যে একটি হল মৎস্যেন্দ্রাসন।
কেন করবেন মৎস্যেন্দ্রাসন?
১) স্নায়ুর যে কোনও জটিল রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। নিয়মিত অভ্যাসে পার্কিনসন্স, গিয়ান-ব্যারের মতো রোগের ঝুঁকি কমবে।
২) সারা শরীরের পেশির ব্যায়াম হবে। পেশির জোর ও নমনীয়তা বাড়বে।
৩) হজমপ্রক্রিয়া উন্নত হবে। বদহজম, অম্বলের সমস্যা কমাতেও আসনটি উপকারী।
৪) শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে খুবই উপযোগী এই ব্যায়াম। অভ্যাসে হরমোনের ভারসাম্যও ঠিক থাকবে।
৫) অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সহায়ক হতে পারে এই আসন। পেট, তলপেট ও নিতম্বের মেদ কমবে।
৬) শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল রাখবে। নিয়মিত অভ্যাসে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা অনেক কমে যাবে।
কী ভাবে করবেন?
মৎস্যেন্দ্রাসনকে বলা হয় ‘হাফ স্পাইনাল টুইস্ট পোজ়’। এটি করার জন্য প্রথমে ম্যাটের উপর সোজা হয়ে বসতে হবে।
পা দু’টি টানটান করে ছড়িয়ে দিন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
এ বার বাঁ পা মুড়ে বাঁ হাঁটু ডান ঊরুর উপর রাখুন।
শরীর উপরের অংশ বাঁ দিকে ঘুরিয়ে বাঁ হাত ডান হাঁটুর উপর রাখুন।
ডান হাত পিঠের দিক দিয়ে ঘুরিয়ে পায়ের পাতা ধরে রাখুন।
এই ভঙ্গিতে ২০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন।
কারা করবেন না?
হাঁটু ও নিতম্বে অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বারা প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি করবেন না।
মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হলেও আসনটি করা যাবে না।