মাড়ি ফুলে ওঠা,যন্ত্রণা কিসের লক্ষণ? ছবি: ফ্রিপিক।
দাঁতের সমস্যা নিয়ে জেরবার অনেকেই। মাড়ির ব্যথাও কম যন্ত্রণার নয়। দাঁতের চেয়েও মাড়িতে ব্যথা হলে ভোগান্তি বেশি হয়। দাঁতে ব্যথা নেই, কিন্তু মাড়ি ফুলে গিয়েছে, সেই সঙ্গে প্রবল ব্যথা, পুঁজ বা রক্ত বেরোলে সাবধান হতেই হবে। মাড়ির এই সমস্যাটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘জিঞ্জিভাইটিস’। এটি হল মাড়িতে সংক্রমণজনিত রোগ। তবে আরও কিছু কারণে মাড়িতে ব্যথা হতে পারে।
কেন ফুলে ওঠে মাড়ি?
মাড়িতে ব্যথা হওয়ার একটি কারণ হল পেরিকরোনাইটিস, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসক রণবীর ভৌমিক। আক্কেল দাঁত ওঠার সময় মাড়ির উপর চাপ পড়ে, তখন মাড়িতে প্রদাহ শুরু হয়। আবার জিঞ্জিভাইটিসও মাড়ির ব্যথার একটি কারণ। সঠিক যত্নের অভাবে মাড়িতে খাবার জমে সেখানে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। সংক্রমণ ঘটলে তখন মাড়িতে প্রদাহ হয়, মাড়ি থেকে পুঁজ বা রক্ত বার হয়। অতিরিক্ত ধূমপান, অপুষ্টি, ডায়াবিটিস, দাঁতের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের ব্যবহার— এমন কয়েকটি কারণ এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
কোন লক্ষণগুলি দেখে সতর্ক হতে হবে?
১) মাড়ি লাল হয়ে ফুলে যাওয়া
২) মাড়ি থেকে ক্রমাগত রক্তপাত
৩) মাড়িতে প্রবল ব্যথা
৪) দুর্গন্ধযুক্ত নিশ্বাস
৫) ঠান্ডা এবং গরম খাবার খেলে দাঁত শিরশির করা
মাড়িতে ব্যথা, পুঁজ হলে ফেলে রাখা ঠিক হবে না। কারণ, সংক্রমণ দ্রুত ঘটে যেতে পারে। নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াও ঠিক হবে না। অনেক সময়ে দাঁতের গোড়ায় ক্যাভিটি দেখা যায়। তার মধ্যে খাদ্যের অবশিষ্টাংশ জমেও প্রদাহ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দন্তচিকিৎসকেরা ক্যাভিটির ভিতরটা পরিষ্কার করে দেন। তবে নিজে থেকে বাড়িতে পরিষ্কার করতে গিয়ে দাঁত খোঁচানো উচিত নয়। কিছু ক্ষেত্রে এক্স-রে করে দাঁতের অবস্থা বুঝে দাঁতটি তুলেও ফেলা হয়।
মাড়িতে ব্যথা হলে কোনও রকম তেল বা লোশন লাগাবেন না, ঠান্ডা বা গরম সেঁকও দেবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সংক্রমণ ঘটলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে মাউথওয়াশ ব্যবহার করাও ঠিক হবে না।