—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পা শরীরের ভার বহন করে, তাই এই অঙ্গকে অবহেলা নয়। পায়ের যত্ন নিতে হবে সারা বছরই
বছরের এই সময়টা শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় প্রায় সকলেই ভোগেন। মুখ ও হাতের যত্নে আমরা যতটা সময় ব্যয় করি, পায়ের দিকে সে ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। শীতকালে পা ফাটেও বেশি। তার মধ্যে যদি আবার ধুলোবালি লাগে, তা হলে আরও সমস্যা। এগজ়িমা, ডায়াবিটিস, থাইরয়েডের রোগীরা পা ফাটার সমস্যায় বেশি ভোগেন। বাড়িতেই কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে পায়ের পাতা এবং গোড়ালির যত্ন নেওয়া যায়। আর এই যত্ন বছরভরই নেওয়া উচিত।
ফোসকার সমস্যা
পায়ের যে সমস্যায় সকলেই কমবেশি ভোগেন তা হল, ফোসকা। নতুন জুতো থেকে ফোসকা পড়ে বা বেশি হাঁটাহাঁটি করলেও পড়ে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এটি এড়ানো যায়। দু’পায়ের কড়ে আঙুল, গোড়ালির উপরের অংশে সাধারণত ফোসকা পড়ে। নতুন জুতোর এই অংশে নারকেল তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগালে ফোসকার সম্ভাবনা কমবে। পায়ে ফোসকা পড়লে, সেই জায়গায় বরফ দিতে পারেন। মধু বা অ্যালোভেরা জেলও কাজ দেবে। অনেক সময়ে ফোসকা পেকে যায়। সে রকম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগান সেখানে।
পায়ের দুর্গন্ধ
অনেকেই পায়ের দুর্গন্ধ নিয়ে নাজেহাল হন। মূলত পায়ে ঘাম জমে ব্যাক্টিরিয়া বা ছত্রাক আক্রমণ ঘটে, যা থেকে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। আবার ডায়াবিটিস বা কিডনির অসুখ থাকলেও এই সমস্যা দেখা যায়। এর থেকে রেহাই পাওয়ারও উপায় আছে। অনেকের পা বেশি ঘামে, চিকিৎসার ভাষায় এটাকে হাইপারহাইড্রোসিস বলা হয়। যাঁদের পায়ে দুর্গন্ধ হয়, তাঁরা ঢাকা জুতো না পরার চেষ্টা করলে ভাল। পায়ে হাওয়া লাগে এমন জুতো পরলে, ঘাম কম হবে। প্রত্যেক দিন পরিষ্কার মোজা পরতে হবে। আর মোজা হতে হবে সুতির। স্নানের সময়ে পা ভাল করে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। সারা দিনের কাজের পর ঈষদুষ্ণ জলে এপসাম লবণ দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এতেও দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ছত্রাক বা ব্যক্টিরিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচতে মাঝেমধ্যে জুতো রোদে দেওয়া প্রয়োজন। দরকারে জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে