ফুলকপি কী ভাবে খেলে ওজন কমবে? ছবি: ফ্রিপিক।
ফুলকপি খেয়েও ওজন কমানো যায়? সবজে রঙা ব্রকোলিতে যাঁদের আপত্তি, তাঁদের জন্য ফুলকপিও হতে পারে বিকল্প। ফুলকপিতে রয়েছে ফাইবার, কম ক্যালোরি এবং একেবারে কম কার্বোহাইড্রেট। ফলে ফুলকপি ওজন বশে রাখতে সত্যিই উপকারী। তবে ফুলকপি খাওয়ারও রয়েছে কৌশল। কী ভাবে খাবেন?
অনেকেই ভাববেন, ফুলকপি দিয়ে তো মুখরোচক রান্নাই হয়। বিশেষ করে বাঙালির হেঁশেলে ফুলকপির কষা, ঝাল-ঝোলই বেশি রাঁধা হয়। কিন্তু ফুলকপি যদি এমন ভাবে রান্না করা যায়, যাতে তেলমশলার পরিমাণ সীমিত থাকে, তা হলে কিন্তু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই আনাজে অনেক ফাইবার আছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে আছে ক্যালশিয়াম এবং ফ্লোরাইড। এই দু’টি উপাদান হাড় ও দাঁত শক্ত রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি, সি এবং কে রয়েছে ফুলকপিতে। এই তিনটি উপাদানই শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সমৃদ্ধ ফুলকপি শরীরের জন্য ভাল।
ফুলকপি কী ভাবে খেলে ওজন কমবে?
রোস্টেড কলিফ্লাওয়ার ফ্লোরেট
একটি গোটা ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এক চামচ অলিভ অয়েল, ১ চামচ নুন, এক চামচ গোলমরিচ, সামান্য থাইম নিতে হবে। প্রথমে মাইক্রোঅয়েভ অভেন ২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রি-হিট করে নিন। এ বার ফুলকপির টুকরোগুলি সব মশলা ও অলিভ অয়েলে মাখিয়ে বেকিং শিটে রেখে রোস্ট করে নিতে হবে ২০-২৫ মিনিট। হালকা খয়েরি রং ধরলে বার করে নিন।
কলিফ্লাওয়ার পপকর্ন
একই ভাবে ফুলকপি খুব ছোট ছোট টুকরো করে নিন। তাতে অলিভ অয়েল, নুন, গোলমরিচ, থাইম মাখিয়ে সেগুলি ব্রেড ক্রাম্পে মাখিয়ে নিন। এ বার মাইক্রোঅয়েভ অভেন ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে প্রি-হিট করে তাতে রোস্ট করে নিতে হবে। এতে ফুলকপিতে বেশি তেলও ঢুকবে না, অথচ খেতেও সুস্বাদু হবে।
ফুলকপির চিপ্স
ডায়েটে এমনি চিপস্ খাওয়া যায় না। তবে ফুলকপি হলে সমস্যা নেই। পাতলা পাতলা করে প্রথমে ফুলকপি কেটে নিতে হবে। অলিভ অয়েল, গোলমরিচ, নুন আর পছন্দের কিছু মশলা মাখিয়ে মাইক্রোওয়েভ অভেনে ঢুকিয়ে দিন। ১৫-২০মিনিট পরে বার করে নিলেই তৈরি চিপ্স।