কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট কমাবে তিন ‘ম্যাজিক’ পানীয়। ছবি: ফ্রিপিক।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকেরই আছে। কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা কিছু দিনের, আবার কারও ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি। এই সমস্যা এড়াতে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ারই পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে কেবল ফাইবার খেলেই যে কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে তা নয়। খেতে হবে সঠিক পথ্য। শীতের দিনে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষ করে বাড়ির বয়স্কেরা অনেক সময়েই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। সে ক্ষেত্রে বাজারচলতি ওষুধের বদলে ঘরোয়া কিছু টোটকায় কষ্ট কমতে পারে। বাড়িতেই বানিয়ে নিন তিন ‘ম্যাজিক’ পানীয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট কমাবে তিন পানীয়
জিরে-মৌরি-জোয়ানের চা
একটি পাত্রে ২ কাপ জল নিয়ে তাতে এক চামচ করে জিরে, মৌরি, জোয়ান এবং আদা কুচি দিয়ে দিন। ঢাকনা চাপা দিয়ে ৫-৭ মিনিট মাঝারি আঁচে জল ফোটাতে হবে। দেখবেন জলের রং বদলে গিয়েছে, সুন্দর গন্ধ বার হবে। এ বার গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রাখুন। তার পর ছেঁকে নিয়ে তাতে বিটনুন ও কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। রোজ সকালে পান করলে পেটের যে কোনও সমস্যা, গ্যাস-অম্বলও দূর হবে।
উষ্ণ দুধ ও ঘি
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জলে এক চামচ ঘি মেশাতে হবে। ভাল ফল পেতে হলে, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তা খেতে হবে। ঘি খেলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দূর হয়। ঘি অন্ত্রের পথ পরিষ্কার করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। ঘি খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমে, বাড়ে উপকারী কোলেস্টেরল। কোলনের প্রদাহও দূর করতে পারে ঘি।
গ্রিন পাওয়ার স্মুদি
এক কাপ পালং শাক, ১টি পাকা কলা, আধ কাপের মতো আনারসের কুচি,আধ কাপ শশার কুচি, ১ চা চামচ চিয়া বীজ এবং এক কাপ ডাবের জল বা কাঠবাদামের দুধ নিতে হবে। সমস্ত উপকরণ ব্লেন্ড করে নিয়ে তাতে পুদিনা পাতা ছড়িয়ে খেতে পারেন। রোজ এই স্মুদি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট অনেক কমে যেতে পারে।