কেন ছুটির দিনে ক্লান্তি বাড়ে, কী কী করলে এনার্জি বাড়বে? ছবি: ফ্রিপিক।
ছুটির দিনটাতে যেন বিশ্রামই হয় না। এমনই অভিযোগ অনেকের। ছুটির দিনে ক্লান্তি যেন আরও বেশি ঘিরে ধরে। ফলে পরের দিন অফিসে গিয়েই ঝিমুনি আসে। কাজে আর মন বসে না। আসলে ছুটির দিনে রোজের রুটিন অনেকটাই বদলে যায়। পরের দিন ছুটি বলে তার আগের দিনে বেশি রাত অবধি জেগে গল্প-আড্ডা বা টিভি দেখেন অনেকে। ছুটির দিনে বাইরে খেতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়, রাত জেগে পার্টিও করেন অনেকে। ফলে ‘দেহঘড়ি’ বা ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’-এর মতিগতি বদলে যায়। এতে শরীর বিশ্রাম তো পায়ই না, উল্টে শরীর ও মনের চাপ আরও বাড়ে।
ছুটির দিনে পছন্দের কাজ করবেন ঠিকই, তবে দেদার অনিয়ম করলে চলবে না। সবই করুন, কিন্তু বিশ্রামও নিন। ঠিক কী ভাবে ছুটির দিনটি কাটালে ক্লান্তিবোধ কম হবে, তার কিছু কৌশল আছে।
টানা ঘুম
ঘুমের চক্র ঘেঁটে গেলেই ক্লান্তি বাড়বে, মানসিক চাপও। তাই ছুটি থাকলেও এই রুটিনের আদলবদল করা যাবে না। ছুটির আগের দিন রাতে সময় মতোই ঘুমোতে যান। যত কাজ তার আগেই শেষ করতে হবে। টানা ৭-৯ ঘণ্টার ঘুম জরুরি। তা হলেই ছুটির দিনটা যত খুশি হুল্লোড় করলেও ক্লান্তিবোধ হবে না। সম্ভব হলে দুপুরে এক ঘণ্টার ‘ন্যাপ’ নিয়ে নেবেন, এতে ঝিমুনি কেটে যাবে। শরীর ও মন তরতাজা লাগবে।
খাওয়াদাওয়া মাপ মতোই
ছুটির দিনে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হবেই। তবে চেষ্টা করতে হবে, তেলমশলা যতটা কম খাওয়া যাবে। ছুটি মানেই গলা অবধি মদ্যপান করা কাজের কথা নয়। বিশেষ করে রাতভর মদ্যপান বা অনেক রাত অবধি জেগে টিভি দেখা, স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি করে। যদি ছুটির দিন ভূরিভোজের পরিকল্পনা থাকে বা নিমন্ত্রণ থাকে, তা হলে এক বেলা হালকা খান। সকালে ভারী কিছু খেলে রাতে হালকা স্যুপ খাওয়াই ভাল।
শরীরচর্চায় গাফিলতি মানেই মুশকিল
ছুটির দিনে ভারী ব্যায়াম না-ই বা করলেন। কার্ডিয়ো বা স্ট্রেংথ ট্রেনিং অথবা জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে না চাইলে, বাড়িতেই অন্তত ২০ মিনিট সহজ কিছু যোগাসন করে নিন। হাঁটাহাঁটি, স্পট জগিং বা সাঁতারও ভাল। এতে শরীর তরতাজা থাকবে। সপ্তাহভরের ক্লান্তি দূর হবে।
মনকে শান্ত করা
খুব ক্লান্ত লাগলে মিনিট দশেক সময় নিয়ে টান টান হয়ে বসে গভীর ভাবে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। এই প্রক্রিয়ায় মন একটু শান্ত হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দিনে নিয়ম করে কিছু ক্ষণ প্রাণায়াম করুন।
প্রকৃতির মাঝে সময় কাটান
সারা দিনে অন্তত আধ ঘণ্টাও যদি কেউ প্রকৃতির মাঝে কাটাতে পারেন, তা হলে শরীর ও মন, দুই-ই চাঙ্গা হবে। একাধিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই পেতে হলে সবুজ গাছগাছালি ভরা জায়গায় কিছুটা সময় থাকতে হবে। চেষ্টা করে দেখতেই পারেন, এতে মনের অস্থিরতা কমবে।