Medical Tests

ভাল আছে তো হার্ট? রোগ বাসা বাঁধেনি তো লিভারে, বয়স ২০ পেরোলে যে যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই হবে

একটা বয়সের পর কিছু পরীক্ষা করিয়ে রাখাকেই সুস্থ থাকার পথ হিসেবে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সেই সব পরীক্ষা করানোর জন্য আর ৪০ বছর অবধি অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। বরং বয়স ২০ পেরোলেই কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে রাখা ভাল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৪
Share:

বয়স ২০ বছর পেরোলে কী কী পরীক্ষা অবশ্যই করাতে হবে? ছবি: ফ্রিপিক।

যত দিন যাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে ততই বাড়ছে হার্টের অসুখ। কোভিডের ঠিক পরে পরেই হার্ট অ্যাটাকে পর পর মৃত্যুর খবর শোনা গিয়েছিল। ইদানীং কালে হঠাৎ করেই যেন বেড়ে গিয়েছে হার্টের ব্যামো। শুধু হার্ট কেন, ভুগছে লিভার, কিডনিও। তবে অসুখ ধরা পড়ার পর চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার চেয়ে রোগকে ঠেকিয়ে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর তাই একটা বয়সের পর কিছু পরীক্ষা করিয়ে রাখাকেই সুস্থ থাকার পথ হিসেবে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সেই সব পরীক্ষা করানোর জন্য আর ৪০ বছর অবধি অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। বরং বয়স ২০ পেরোলেই কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে রাখা ভাল।

Advertisement

কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে রাখা জরুরি?

লিপিড প্রোফাইল

Advertisement

অনিয়মিত জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ার ভুল, শরীরচর্চায় ঢিলেমি ইত্যাদির হাত ধরে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। কমতে থাকে ভাল কোলেস্টেরল। বিলিরুবিনের মাত্রার তারতম্য ঘটতে শুরু করে। তাই কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড টেস্ট করিয়ে নিতেই হবে।

প্রি-ডায়াবিটিস ও ডায়াবিটিস

বয়স বাড়লেই ডায়াবিটিসের আশঙ্কা থাকে, এই ধারণা কিন্তু ভুল। কম বয়সেও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই বয়স ২০ পেরোলেই বছরে অন্তত এক বার করে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। এইচবিএ১সি পরীক্ষা, ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট, গ্লুকোজ় টলারেন্স টেস্ট, র‌্যানডম ব্লাড সুগার টেস্ট করিয়ে রাখলে ভাল।

ক্যানসার স্ক্রিনিং

অত্যন্ত দরকারি একটি পরীক্ষা। স্তন থেকে ডিম্বাশয়, এমনকি জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে মহিলাদের। তাই একটা বয়সের পর এই পরীক্ষাগুলি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। মহিলাদের প্যাপ স্মিয়ার, ম্যামোগ্রাম টেস্ট করিয়ে নিতেই হবে।

থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট এবং হিমোগ্রাম

থাইরয়েড শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না তা অনেক সময়েই বোঝা যায় না। কিন্তু পরীক্ষা করালে এই অসুখগুলি ধরা পড়ে। আপনার হিমোগ্লোবিন কতটা এবং থাইরয়েড প্রোফাইল কী রকম জানা থাকলে, এই রোগগুলি সহজেই ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যাবে।

লিভার ফাংশন টেস্ট

অনিয়ম শুধু রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় এমনই নয়, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্ষতি করে লিভারেরও। বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়লে যেমন হেপাটাইটিসের শঙ্কা বাড়ে, তেমনই কিছু উৎসেচক, প্রোটিন ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রার তারতম্য ঘটলেও লিভারের অসুখ দানা বাঁধে। যদি ওজন কমে যায়, পেট ফাঁপে, অতিরিক্ত অম্বল, ঘন ঘন জন্ডিস বা পা ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তা হলে লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে রাখুন।

চোখের পরীক্ষা

চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে মায়োপিয়া, হাইপারোপিয়া এবং প্রেসবায়োপিয়া পরীক্ষা করানো উচিত। এই তিনটি পরীক্ষার মাধ্যমেই আপনার দৃষ্টিশক্তির মান কেমন তা যাচাই করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement