Snoring Remedies

নাসিকা গর্জনে পাশের মানুষটি অতিষ্ঠ! মুখ ও গলার সহজ কিছু ব্যায়ামে নাক ডাকার সমস্যা কমবে চিরতরে

নাক ডাকার সমস্যা কোনও ওষুধে কমবে না। এর জন্য করতে হবে কিছু ব্যায়াম। রোজ অভ্যাস করলে নাক ডাকার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:২৩
Share:

নাক ডাকার সমস্যা দূর হবে জিভের সহজ কিছু ব্যায়ামে। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

নাক ডাকার সমস্যা চিরকেলে। রাতে ভয়ানক নাসিকা গর্জনের জেরে পাশের মানুষটির ঘুমের দফারফা। ফলস্বরূপ রোজই বাড়িতে অশান্তি। নাক ডাকা রাতারাতি থামিয়ে ফেলা আপনার সাধ্যি নয়। ওষুধ খেয়েও এই সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু এমন কিছু ব্যায়াম আছে, যা অভ্যাস করতে পারলে নাক ডাকার সমস্যা দূর হতে পারে।

Advertisement

নাক ডাকার সমস্যার একাধিক কারণ থাকতে পারে। অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েডের সমস্যা যেমন কারণ হতে পারে, তেমনই আরও একটি কারণ হল ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। ঘুমোনোর সময়ে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা হওয়ার কারণে নাক ডাকার সমস্যাও বাড়ে। আবার নাকের ভিতরের পাতলা পর্দার অংশে ফোলা মাংসপিণ্ড অর্থাৎ পলিপের সমস্যা থাকলেও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা আসে। সে ক্ষেত্রেও নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। অ্যালার্জি বা ক্রনিক সাইনুসাইটিসের মতো সমস্যা থাকলে পলিপের সমস্যা অত্যধিক বেড়ে যায়। তখনও নাক ডাকার সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু ব্যায়াম করলে শ্বাসপ্রশ্বাসের এই বাধা দূর হতে পারে।

কোন কোন ব্যায়াম করবেন?

Advertisement

জিভ স্লাইড

জিভের ডগা দাঁতের উপরের পাটির পিছনে ঠেকান। ধীরে ধীরে সেখান থেকে মূর্ধা অবধি নিয়ে যান। সেখান থেকে আরও যতটা সম্ভব পিছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ৫-১০ বার এই প্রক্রিয়াটি করুন।

জিভের স্ট্রেচ

জিভটি যতটা সম্ভব বাইরে বার করুন। থুতনির যতটা কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারেন, চেষ্টা করুন। ওই ভঙ্গিতে ১০-১৫ সেকেন্ড থাকুন। ৫ বার করে অভ্যাস করুন।

জিভের পুশ-আপ

জিভ উপরে তুলে মূর্ধায় স্পর্শ করুন। সেই ভাবে ৫-১০ সেকেন্ড থাকুন। এই প্রক্রিয়াটি ৫ বার করে করতে হবে।

নেক টাইটেনার

মাথা পিছন থেকে হেলিয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকান। এ বার জিভ উপরে তুলে মূর্ধায় স্পর্শ করুন এবং ঢোঁক গিলুন। ৫ সেকেন্ড ওই ভাবে করতে থাকুন। দেখবেন, গলার কাছে টান পড়ছে। এই ব্যায়ামে চোয়াল ও গলার পেশির জোর বাড়বে। এতে শ্বাসজনিত সমস্যাগুলি দূর হবে।

জিভ ঘোরানো

মুখ বন্ধ রেখে জিভটি এক বার ঘড়ির কাঁটার দিকে ও এক বার ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘোরাতে হবে। প্রতিটি দিকে ১০ বার করে অভ্যাস করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement