কালো কফি সকালে খাবেন না বিকেলে, কখন খেলে ওজন কমবে? ছবি: ফ্রিপিক।
ওজন কমাতে অনেকেই ব্ল্যাক কফি খাওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু কালো কফি খেলে ওজন কি আদৌ কমে? চিকিৎসকেরা বলছেন, কালো কফি খেতে হলে তা খাওয়ার সঠিক সময় জানতে হবে। পরিমাণও জানা জরুরি। সারা দিনে কাপের পর কাপ কফি খেয়ে গেলে রক্তে ক্যাফেইনের মাত্রা বেড়ে হিতে বিপরীত হবে। তাই কালো কফি খাওয়া শুরু করলে তার পরিমাণ জেনে রাখা জরুরি।
কালো কফিতে কি ওজন কমে?
ব্ল্যাক কফিতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে দিতে পারে। এই উপাদান শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং হজম ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কাজেই ডায়াবিটিস থাকলে কালো কফি খাওয়া যেতেই পারে।
কালো কফি খেলে শরীরে ‘থার্মোজেনেসিস’ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে যা চর্বি গলাতে সহায়ক হয়। শরীরের ভিতরের তাপমাত্রার এই বদলকেই বলা হয় থার্মোজেনেসিস।
লাইপোলাইসিস প্রক্রিয়ায় মেদ ঝরাতে সাহায্য করে কালো কফি। ওটি এক প্রকার জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া যা চর্বি ভেঙে গ্লিসারল ও ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। এই প্রক্রিয়াটি শরীরে চলতে থাকলে চর্বি যেমন গলবে, তেমনই শক্তি তৈরি হবে। এতে ক্লান্তি কমে শরীর চনমনে হয়ে উঠবে।
কতটা খেলে উপকার হবে?
কালো কফিতে ওজন কমবে মানেই কাপের পর কাপ খেয়ে ফেললে চলবে না। সারা দিনে ২ কাপই যথেষ্ট। এতে ২০০-৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন ঢুকবে শরীরে। তবে দু’কাপের বেশি খেতে থাকলে উপকারের চেয়ে অপকারই হবে। এতে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাবে, অম্বল হতে পারে, ঘুমের সমস্যা দেখা দেবে।
কখন খাবেন?
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ব্যায়ামের ৩০-৪৫ মিনিট আগে খেতে হবে। এতে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে যা বাড়তি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করবে। ব্যায়াম যাঁরা করেন না, তাঁরা সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে কফি খেলে উপকার পাবেন। তবে বিকেল ৪টের পর আর কফি খাওয়া ঠিক হবে না। কারণ বিকেল-সন্ধ্যার সময়ে বিপাকক্রিয়ার হার কমতে থাকে। ওই সময়ে ক্যাফেইন শরীরের জন্য ভাল নয়।