শীতের দিনে এই তিন রকম স্যুপ খেলে বাতের ব্যথা কমবে। ছবি: ফ্রিপিক।
ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই বাতের ব্যথা ভোগায়। ক্লান্তি ভাব, আলস্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যাঁরা দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করেন, তাঁদের পায়ের পাতায় ও গোড়ালিতে ব্যথাও বাড়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা রাখা মাত্রই তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় গোড়ালিতে। হাঁটতে গেলে পায়ে টান ধরে যায়। সিঁড়ি ভাঙা তো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এ দিকে ব্যথা কমাতে ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ খেতেও নিষেধ করেন চিকিৎসকেরা। তা হলে উপায়?
রোজের খাওয়াদাওয়ায় নজর দিলেও কিন্তু বাতের ব্যথাবেদনা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এমন কিছু খেতে হবে যা শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে হাড়ের জোর বৃদ্ধি করতে পারে। পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে পারে। শীতে বয়স্কদের কষ্ট বেশি হয়। অস্থিসন্ধিতে থাকা কার্টিলেজ ক্ষয়ে যাওয়ার ফলে যন্ত্রণা হয়। তাই হাড়ের ক্ষয় ঠেকাতেও এমন কিছু খেতে হবে যাতে শরীরে ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হয়। তার জন্য স্যুপ খেতে পারেন। যা শুধু পুষ্টিকরই নয়, তার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এমনকি, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্যও সমান কার্যকরী।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে কোন কোন স্যুপ?
বিউলির ডালের স্যুপ
এক কাপের মতো বিউলির ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে পারলে ভাল হয়। এ বার ডাল প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। স্যুপ তৈরির জন্য ছোট ছোট করে গাজর, বিন কেটে নিন। চাইলে পছন্দের সব্জিও দিতে পারেন। এ বার প্যানে অল্প ঘি গরম করে তাতে জিরে, হিং, আদাবাটা, রসুনবাটা, পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। সুন্দর গন্ধ বার হলে সেটি সেদ্ধ ডালের উপর দিয়ে দিন। এ বার ডাল ফুটিয়ে নিন মিনিট পাঁচেক। রান্না হয়ে গেলে উপর থেকে ধনেপাতা ও সামান্য মাখন ছড়িয়ে দিন।
মাশরুম স্যুপ
মাশরুমের উপর লেবুর রস ছড়িয়ে নিন। ভাল করে কুচিয়ে নিন। ননস্টিক প্যানে মাখন গলিয়ে পেঁয়াজ কুচি নেড়ে নিন। এর মধ্যে মাশরুম, থাইম, তেজপাতা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না জল শুকিয়ে আসছে। এর মধ্যে নুন, গোলমরিচ, ক্রিম দিয়ে ফোটাতে থাকুন। আঁচ কমিয়ে ২০ মিনিট ঢিমে আঁচে রাখুন। কর্নস্টার্চ গোলা স্যুপে দিয়ে ১০ মিনিট ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। নুন দিন। বাটিতে গরম স্যুপ ঢেলে উপরে পার্সলে কুচি ছড়িয়ে দিন।
পালং শাকের স্যুপ
এক আঁটি পালং শাক গরম জলে ভাপিয়ে নিয়ে মিক্সিতে পেস্ট করে নিন। কড়াই কম আঁচে বসিয়ে মাখন দিন। ময়দা দিয়ে নেড়ে দুধ ঢেলে দিন। ভাল করে নাড়তে থাকুন। এর সঙ্গে পালং বাটা মেশান। নুন-মিষ্টি চেখে নিন। পরিবেশনের সময় উপরে একটু ক্রিম দিলে দেখতে ভাল লাগে। খেতেও ভাল হয়। ক্রিম না থাকলে দইয়ের জল ঝরিয়ে এক চামচ উপরে ঢেলে দিতে পারেন।