Toxic Kitchen Utensils

মারণরোগের কারণ লুকিয়ে কি রান্নাঘরে? রোজের ব্যবহারের কোন তিন জিনিস থেকে ছড়াচ্ছে বিষ?

‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, রান্নাঘরের কিছু জিনিসপত্র মানব শরীরের জন্য বিষ। সেগুলি পত্রপাঠ বিদায় না করলে মারণ রোগের ঝুঁকি থেকেই যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৫ ১২:১৫
Share:

হেঁশেলের কোন তিন জিনিস থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে? ছবি: এআই।

ক্যানসার হওয়ার একটা বড় কারণ কি লুকিয়ে হেঁশেলে? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। রোজের ব্যবহারের এমন কিছু জিনিস আছে, যা থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক বার হয়ে শরীরে ঢুকছে অহরহ। অনেকেই ভাবতে পারেন, ধোঁয়া থেকে হয়তো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। তা যেমন সত্যি, তেমনই বাসনপত্র, রান্নার কিছু উপকরণও কিন্তু এর জন্য দায়ী। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, রান্নাঘরের কিছু জিনিসপত্র মানবশরীরের জন্য বিষ। সেগুলি পত্রপাঠ বিদায় না করলে মারণরোগের ঝুঁকি থেকেই যাবে।

Advertisement

হেঁশেলের কোন কোন জিনিস ক্ষতিকর?

প্লাস্টিকের থালাবাসন

Advertisement

খাবার থালা বাটি, রান্না করে গরম খাবার রাখার প্লাস্টিকের পাত্র অথবা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হাতা-খুন্তি-চামচ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদায় করুন। এখন প্লাস্টিকের নানা রকম শৌখিন বাসনপত্র বেরিয়ে গিয়েছে। সেগুলি কিনে এনে রান্নাঘর সাজাচ্ছেন অনেকেই। আর এখান থেকেই ঘটছে বিপদ। ভাজাভুজির জন্য খুন্তি হোক বা স্প্যাচ্যুলা— গরম ক়ড়াইয়ে প্লাস্টিকের তৈরি সরঞ্জাম দিয়ে দিব্য রান্না বান্না হয়। থালা-বাটিতে ঢেলে তা পরিবেশনও করা হয়। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক নির্মিত গেরস্তালির জিনিসপত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে সেগুলির ৯০ শতাংশই তৈরি অগ্নি নিরোধক বিষাক্ত রাসায়নিক দিয়ে। প্লাস্টিককে শক্তপোক্ত ও তাপরোধী তৈরি করতে তাতে নানা রকম রাসায়নিক মেশানো হয়। তা ছাড়া বিসফেনল এ তো থাকেই, যা ক্যানসার ও অন্যান্য জটিল রোগের ঝুঁকি বহু গুণে বাড়িতে দিতে পারে। প্লাস্টিককে যত তাপ দেওয়া হবে, ততই সেই রাসায়নিক বেরিয়ে খাবারে মিশবে আর শরীরে ঢুকে রক্তপ্রবাহে বাহিত হয়ে সরাসরি হার্ট, মস্তিষ্ক ও কিডনিতে গিয়ে ধাক্কা দেবে। তাই প্লাস্টিকের বদলে কাচ, স্টেনলেস স্টিল, সিলিকন বা বাঁশের তৈরি বাসনপত্র ব্যবহার করার পরামর্শই দেওয়া হচ্ছে।

প্লাস্টিকের কাটিং বোর্ড

হেঁশেলের আরও একটি জিনিস বিপজ্জনক, তা হল প্লাস্টিকের তৈরি কাটিং বোর্ড। কাঁচা আনাজ বা মাছ-মাংস এই বোর্ডে কাটলে, তার থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বেরিয়ে খাবারে মিশে যাবে। কাটিং বোর্ডগুলি এমন উপকরণে তৈরি যাতে বিসফেনল এ এবং থ্যালেটসের মতো রাসায়নিক থাকে, যা হরমোনের গোলমালের কারণ হয়ে উঠতে পারে। প্লাস্টিকের বদলে তাই কাঠের তৈরি কাটিং বোর্ড ব্যবহার করা ভাল।

নষ্ট হয়ে যাওয়া নন-স্টিকের বাসনপত্র

‘সেন্টার অব ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর গবেষণা অনুযায়ী, ননস্টিকের তৈরি রান্নাঘরের কিছু প্রয়োজনীয় বাসনপত্র এবং অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে রাসায়নিক পদার্থ ‘পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল’ (পিএফএএস)-এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। অনেকেই বাড়িতে ননস্টিকের পাত্রে খাবার রান্না করেন। দীর্ঘ ক্ষণ ভাল রাখতে অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলেও কেউ কেউ খাবার মুড়িয়ে রাখেন। এর থেকে ক্ষতিকর ‘পিএফএস’ খাবারের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। সেই খাবার থেকে তা শরীরে প্রবেশ করছে এবং লিভারে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলছে। যার পরিণতি লিভার ক্যানসারও হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement