Snoring

নাক ডাকেন বলে প্রেমিকা বিয়েতে বেঁকে বসেছেন? কোন ৩ আসনে মিলবে সমাধান?

নাক ডাকার সমস্যা দূরে রাখতে রোজের জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন। নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মমাফিক কয়েকটি শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ১৪:২৩
Share:

নাক ডাকার সমস্যা দূরে রাখতে রোজের জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।

ঘুমের ঘোরে নাক ডাকেন অনেকেই। কিন্তু সমস্যা হল যিনি নাক ডাকেন, তিনি টের পান না। যাঁরা সেই নাক ডাকার আওয়াজ শোনেন, আসল সমস্যাটি হয় তাঁদের। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নাক ডাকার সমস্যা মোটেই সাধারণ নয়। অনেক জটিল রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে এটি। কিংবা আপনি যদি আগে থেকেই কোনও রোগের শিকার হন, তা হলে আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বিষয়টি।

Advertisement

চলতি ভাষায় যাকে নাক ডাকা বলে, সেই শব্দটা কিন্তু নাক থেকে আসে বললে ভুল হবে। বরং শব্দটা তৈরি হয় গলা আর নাকের মাঝখানের অংশ থেকে। সেখানে বাতাসের গতিবিধি কোনও ভাবে বাধা পেলে শব্দের সৃষ্টি হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’। তবে বেশি দিন এ রকম চলতে দেওয়া ঠিক নয়। নাক ডাকার সমস্যা দূরে রাখতে রোজের জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মমাফিক কয়েকটি শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

ধনুরাসন

Advertisement

পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও ঊরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।

ভুজঙ্গাসন

মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।

নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মমাফিক কয়েকটি শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ছবি: সংগৃহীত।

ভ্রামরী প্রাণায়াম

প্রাণায়ামটি করার সময়ে ভ্রমরের মতো গুঞ্চন হয়, তাই এই নামকরণ। দুই হাতের তর্জনী, দুই কানের উপর রাখুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে একটি গভীর শ্বাস ভিতরে টানুন। এ বার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়ার সময়ে গলা দিয়ে নিচু স্বরে একটি ‘হুম’ আওয়াজ করুন। এই প্রাণায়াম রোজ করতে পারলে মানসিক চাপ কমে, দূর হয় ক্লান্তি। স্নায়ুকে শান্ত করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন