ছবি : সংগৃহীত।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা প্রকৃত অর্থেই যন্ত্রণাদায়ক। কারণ শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে দেখা দেয় বাতের সমস্যা। আঙুলের গাঁট থেকে শুরু করে কব্জি, হাঁটু, পায়ের আঙুল যন্ত্রণা শুরু হলে কাজ করা তো দূর অস্ত্, ওঠা-বসা-সিঁড়ি ভাঙাও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তবে এক পুষ্টিবিদ বলছেন খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করেও ইউরিক অ্যাসিডে রাশ টানা সম্ভব।
পুষ্টিবিদ রমিতা কৌর প্রায়ই নানারকম ব্যথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হিসাবে খাওয়াদাওয়ায় বদল আনার টোটকা দিয়ে থাকেন। তেমনই একটি ভিডিয়োয় তিনি জানিয়েছেন, খাওয়াদাওয়ায় বদল এনে ৭ দিনে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে ফেলা যায়। কী ভাবে?
১। প্রচুর জল পান করতে হবে। কারণ কিডনি জলের সাহায্যেই রক্ত থেকে ইউরিক অ্যাসিড বার করে আনে এবং তা প্রস্রাবের মাধ্যমে বার করে দেয়। দিনে ৮-১২ গ্লাস জল খেলে তা সম্ভব।
২। মাংসের মেটে, পাঁঠার মাংস বা যেকোনও ‘রেড মিট’, তৈলাক্ত মাছ, প্রক্রিয়াজাত মাংস বাদ দিতে হবে। বদলে খান প্রোটিন হিসাবে খান ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম। এ ছাড়া সবুজ শাক সব্জিও বেশি করে খেতে বলছেন পুষ্টিবিদ।
৩। কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। তাই প্রতিদিন ভিটামিন সি বেশি রয়েছে এমন ফল রাখুন খাদ্যতালিকায়। আমলকি, পেয়ারা, লেবু, আপেল ইত্যাদি ফল ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে মদ্যপান থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
৫। ইউরিক অ্যাসিড কমানোর কিছু ঘরোয়া টোটকাও রয়েছে। যেমন অ্যাপল সাইডার ভিনিগার গোলা জল শরীরে অ্যালকেলাইনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য উপযোগী। এছাড়া হলুদ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করতে পারে। শসা এবং আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার হয় বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ।
তবে এর পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি এবং সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে বলছেন পুষ্টিবিদ।