প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই কমবেশি পাতে নুন খান। কিন্তু কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে। আবার অনেক সময়ে পাতে নুন খাওয়ার ফলে সময়ের সঙ্গে কিডনির ক্ষতি শুরু হয়। তবে সজাগ থাকলেই এই অভ্যাসে বদল আনা সম্ভব। খাবারের স্বাদেও তার ফলে বিশেষ তারতম্য ঘটবে না।
কিডনি এবং নুন
যাঁদের কিডনির রোগ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ডায়েট থেকে অতিরিক্ত নুন বাদ দেওয়া উচিত। প্রতি দিন অতিরিক্ত মাত্রায় নুন খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। আবার কারও ক্ষেত্রে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
দৈনিক নুনের পরিমাণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পরামর্শ অনুসারে, এক জন প্রাপ্তয়স্কের সারা দিনে ৫ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেখা গিয়েছে, প্রক্রিয়াজাত খাবার বা পাতে নুনের মাধ্যমে অনেকেই তার থেকে বেশি খেয়ে থাকেন, যা পরোক্ষে তাঁদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
কী ভাবে কমানো সম্ভব
প্রথমত, রান্নার সময় নুন কম ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়াও পাতে নুন খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বাজার থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার কেনার সময়ে মোড়কের গায়ে ফুড লেবেল দেখে নেওয়া উচিত। কোনও খাবারে কতটা পরিমাণ নুন/ সোডিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে, তা ফুড লেবেল থেকে জানা সম্ভব। খাবারের স্বাদ বজায় রাখতে নুনের পরিবর্তে পাতিলেবু, রসুন বা গোলমরিচ গুঁড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথমে নুন কমিয়ে খাবার খাওয়া সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। জিভও খাবারের ধরনের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নেবে।