Weight Loss Tips

শুধু জল খেয়েই ঝরবে মেদ! ‘ওয়াটার ফাস্টিং’ করলে আর কী কী লাভ হয়?

জল খেয়েই ওজন ঝরানো যায়। পুষ্টিবিদেরা একে বলেন ‘ওয়াটার ফাস্টিং’। ওজন ঝরাতে এই পন্থা বেশ কার্যকর। আর কী কী সুবিধা পাওয়া যায় এই উপোস করলে?

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৩ ০৯:৪৩
Share:

‘ওয়াটার ফাস্টিং’ করার নিয়ম কী? ছবি: শাটারস্টক

ওজন বেড়ে গেলেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। ওজন না কমলে যে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধবে। ওজন ঝরাতে বিভিন্ন রকম ডায়েট করতে শুরু করেন কেউ কেউ। কিন্তু কেবল জল খেয়েই ওজন ঝরানো যায়, সেটা জানেন কি? পুষ্টিবিদেরা একে বলেন ‘ওয়াটার ফাস্টিং’। ওজন ঝরাতে এই পন্থা বেশ কার্যকর।

Advertisement

‘ওয়াটার ফাস্টিং’ বিষয়টি কী?

এই উপবাসে জল ছাড়া আর কিছুই খাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনাকে কেবল জল খেয়েই পেট ভরাতে হবে। এতে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যায়। ওই নির্দিষ্ট সময়ে কোনও খাবার শরীরে যায় না, তাই শরীরে কোনও ক্যালোরিও ঢুকতে পারে না। অন্য কোনও ডায়েট করলে শরীরে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্যালোরি কম ঢোকে। তবে এই ডায়েটে শরীরে কোনও ক্যালোরিই যায় না। দীর্ঘ দিন এই উপোস করলে চলবে না। কারণ, কাজকর্ম চালানোর জন্য শরীরের ক্যালোরির প্রয়োজন হয়। অল্প সময়ে এই উপোস করলে তবেই শরীরে বিপাকহার বাড়বে, শরীর চাঙ্গা হবে।

Advertisement

কী ভাবে করতে হবে?

পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া এই উপোস না করাই ভাল। উপোস শুরু করার দিন চারেক আগে থেকে খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। প্রথম ১ দিন করে শুরু করুন উপোস। ধীরে ধীরে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত করতে পারেন এই উপোস। তবে সাবধান, এর বেশি কিন্তু উপোস করা চলবে না। এই উপোসে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতে হবে। উপোস চলাকালীন খুব বেশি পরিশ্রম করা যাবে না। শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি হয় এই সময়ে, তাই অল্প কাজ করলেই ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।

জল খেয়ে উপোস করলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক

ওজন হ্রাস ছাড়া এই ডায়েট করলে কী কী উপকার হয়?

১) শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমা হলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলির কার্যকারিতা কমে যায়। জল খেয়ে উপোস করলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়।

২) শরীরের কোষগুলির উপর ইনসুলিনের প্রভাব বেড়ে যায়। ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে এই উপোস করার আগে ডায়াবিটিসের রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

৩) শরীরে লেবটিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন খিদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে জল খেয়ে উপোস করলে খিদে কম পাবে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যাবে। ওজন বসে থাকবে।

৪) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই উপোস করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫) জল খেয়ে থাকলে শরীর কিটোসিস পর্যায় চলে যায়। কিটোসিস পর্যায়ে স্নায়ুর কার্যকারিতা বেড়ে যায়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন