Diabetes

রাতে খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়েন? ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে এই সময়টি কী ভাবে কাজে লাগাবেন?

ডায়াবিটিস নিয়ে ভুগছেন অনেকেই। সুস্থ হতে কিছু নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই জরুরি। শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঠিক কোন সময়ে শরীরচর্চা করা জরুরি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৪৬
Share:

ডায়াবিটিসের মাত্রা বশে রাখুন। ছবি: সংগৃহীত

বয়স বাড়লে কিছু রোগ হানা দেয় শরীরে। এই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকে ডায়াবিটিস। রক্তে শর্করার মাত্রা এক বার বেড়ে গেলে তা কমাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। সেই সঙ্গে রোজের জীবনেও একটা বদল আনা জরুরি। চিকিৎসার পরামর্শ মতো নিয়ম করে ওষুধ তো খেতে হয়। সেই সঙ্গে বদল আনতে হবে খাওয়াদাওয়াতেও। তবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব ডায়াবিটিসের মাত্রা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এগুলি ছাড়াও সুস্থ থাকতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করাও বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে নিময় করে হাঁটাহাঁটি।

Advertisement

শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। চিকিৎসকরা সে জন্য রোজ সকালে কিছু ক্ষণের জন্য হলেও হাঁটার কথা বলে থাকেন। অনেকেই সকালে হাঁটার সময় পান না। সে ক্ষেত্রে দিনের শেষে খাওয়াদাওয়ার পরও হাঁটা যায়। তেমনটাই বলেন চিকিৎসকরা। দীর্ঘ দিন ধরে যাঁরা ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, হাঁটাহাঁটি করলে তাঁরা কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

হাঁটাহাঁটি করলে তাঁরা কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। ছবি: সংগৃহীত

বার্ধক্যে এমনিতে শরীরের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। শরীরচর্চার প্রবণতাও বয়স বাড়লে কমে যায়। ফলে ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের শর্করার মাত্রা ক্রমশ বা়ড়তেই থাকে। শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি তৈরি হয়। মধুমেহ রোগকে হাতের মুঠোয় রাখতে রাতে খাওয়ার পর ১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলেই মিলবে সুফল। বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবিটিসে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা যদি কিছু ক্ষণ খাওয়ার পর হাঁটাচলা করেন, রক্তে সহজেই শর্করা তৈরি করা যাবে না। কারণ, খাবার থেকেই শর্করা তৈরি হয়। তাই ডায়াবিটিস শরীরে বাসা বাঁধলে এর অন্যতম ওষুধ হল সারা দিনে যখনই সময় পাবেন, কিছু ক্ষণ হাঁটাচলা করা। এই অভ্যাসে বশে থাকতে শর্করার মাত্রা।

Advertisement

শুধুমাত্র ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ নয়, হাঁটাচলার রয়েছে আরও অনেক গুণ। সকালের মতো রাতে খাবার খাওয়ার পরেও হাঁটাচলার কিছু উপকারিতা রয়েছে।

সেগুলি কী?

হৃদ্‌রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে প্রতি দিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ব্যস্ততম জীবনে আলাদা করে জিমে যাওয়ার সময় পান না অনেকেই। সে ক্ষেত্রে কিন্তু নিয়মিত হাঁটাচলা করা একান্ত জরুরি। রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমশক্তি ভাল হয়। হজমের নানা সমস্যা থাকলেও হাঁটাচলা করে সুস্থ থাকা সত্যি সম্ভব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন