বর্ষাকালে সূর্যালোকের অভাবে দেহে ক্লান্তিবোধ তৈরি হয়। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকাল কারও পছন্দ, তো কারও অপছন্দ। একই সঙ্গে বছরের এই সময়ে মনোরম আবহাওয়া শরীরে ক্লান্তিবোধের জন্ম দিতে পারে। তাই সকালে বা দুপুরে অনেকেরই কাজে মন বসে না। প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে ‘ভাতঘুম’! কিন্তু কয়েকটি পরামর্শ খেয়াল রাখলে বর্ষায় এই ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠা যায়।
বর্ষায় ঘুম পায় কেন?
মেঘলা আবহাওয়ায় ত্বক পর্যাপ্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসতে পারে না। ফলে দেহে মেলাটোনিন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা আমাদের শরীরে ক্লান্তিবোধের জন্ম দেয়। ঘুমোতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা নিয়ন্ত্রণে মেলাটোনিনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। আবার শরীরে মেলোটোনিন নিয়ন্ত্রণে সূর্যালোক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। ঠান্ডা এবং স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় মেলোটোনিন আরও বাড়ে। ফলে দেহ আরও সতেজ এবং ফুরফুরে থাকে। ঘন ঘন হাই উঠতে পারে। এরই পাশাপাশি বৃষ্টি পড়ার শব্দ মন হালকা রাখে। হাওয়ার চাপ কমে যাওয়ায় বাতাসে অক্সিজেনের তারতম্য ঘটে। তার ফলে আরও আলস্য চেপে বসে।
কী করা উচিত
বর্ষাকালে ক্লান্তি দূর করতে গরম পানীয় সাহায্য করে। তার মধ্যে চা বা কফি অন্যতম। এই সময়ে বাড়িতে দরজা এবং জানলা খোলা রাখলে খোলামোলা বাতাস এবং আলোর পরিমাণ বাড়ে, যা ক্লান্তি দূর করে। ক্লান্তি কাটাতে বাড়ির বাইরে কাজের ফাঁকে একটু হেঁটে নেওয়া যেতে পারে। ঘরের মধ্যে হলুদ আলোর ব্যবহারও অনেক সময়ে ক্লান্তিবোধ কাটাতে সাহায্য করে।