সূর্য যন্ত্রাসনের উপকার অনেক, কী ভাবে অভ্যাস করবেন? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অনেকেই দিন শুরু করেন সূর্য নমস্কারের মতো আসন দিয়ে। সূর্য নমস্কারের প্রতিটি ধাপ আয়ত্ত করতে সময় লাগবে। তার আগে আরও একটি আসন অভ্যাস করে পেশির নমনীয়তা বাড়ানো যেতে পারে। সেটি হল সূর্য যন্ত্রাসন। একে ‘কম্পাস পোজ়’ বলা হয়। আসনটি দিনের যে কোনও সময়েই করা যেতে পারে। তবে ফিটনেস বিশেষজ্ঞেরা পরামর্শ দেন, ভোরের দিকে এই আসন করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। যদি খোলা জায়গায় প্রকৃতির মাঝে আসনটি করা যায়, তা হলে অনেক রোগব্যাধি দূরে থাকে। বিশুদ্ধ অক্সিজেন মন ও মস্তিষ্ককেও তরতাজা রাখে। অবসাদ-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
কী ভাবে করবেন সূর্য যন্ত্রাসন?
১) প্রথমে দুই পা ছড়িয়ে দণ্ডাসনে বসুন। সামনের দিকে দুই পা প্রসারিত করে রাখতে হবে।
২) এ বার বাম পা মুড়িয়ে নিন সুখাসনের ভঙ্গিতে। ডান পা সোজা উপরের দিকে তুলতে হবে।
৩) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে বাম হাত মাথার পিছন দিক দিয়ে নিয়ে গিয়ে ডান পা ধরা চেষ্টা করতে হবে। আর ডান হাতের তালু মাটি স্পর্শ করে থাকবে।
৪) ওই ভঙ্গিতে থাকার সময়ে ডান হাঁটু ভাঙা চলবে না। পিঠ টানটান রাখতে হবে।
৫) ২০ সেকেন্ড ওই ভঙ্গিতে থেকে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
কেন করবেন?
সূর্য যন্ত্রাসন নিয়মিত অভ্যাসে কাঁধ ও পিঠের পেশি নমনীয় হয়। পেশির শক্তি বাড়ে।
তলপেটের মেদ ঝরাতে খুবই উপযোগী এই আসন। ঊরুর অতিরিক্ত চর্বিও কমে যায়।
মেরুদণ্ড ও নিতম্বের ব্যায়াম হয় এই আসনটি করলে। নিতম্বে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না।
মনঃসংযোগ বাড়াতেও আসনটি উপকারী। নিয়মিত অভ্যাসে মন স্থির হয়, উদ্বেগ কমে।
কারা করবেন না?
মেরুদণ্ডে আঘাত থাকলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি না করাই ভাল।
ReplyForward