মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে, কাজে মন বসবে, নিয়মিত অভ্যাস করুন উত্তনা শীর্ষাসন। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
শরীর ফিট রাখতে নিয়ম করে শরীরচর্চা না করলেই নয়। তবে কাজের ব্যস্ততা ও সংসারের দায়িত্ব সামলে জিমে যাওয়ার সময় পান না অনেকেই। ফলে নানা রকম শারীরিক জটিলতা বাড়ছে। ঘন ঘন চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হচ্ছে সমস্যা নিয়ে। ইচ্ছে থাকলে কিন্তু বাড়িতেই আধ ঘণ্টা সময় বার করে যোগাসন বা ব্যায়াম অভ্যাস করা যায়। কেবল রোগা হতেই নয়, নানা রকম রোগবালাই ঠেকিয়ে রাখতেও নিয়ম করে যোগাসন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে মন ভাল রাখতে মেডিটেশন ও যোগাসনই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হতে পারে। ব্যস্ততা ও কাজের চাপ যত বাড়ছে, ততই উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তার পাহাড় জমছে মনে। কোনও কাজেই আর মনোযোগ দিতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে উত্তনা শীর্ষাসন রোজ অভ্যাস করলে মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পারে। মনের অস্থিরতাও দূর হবে।
কী ভাবে করবেন উত্তনা শীর্ষাসন?
১) প্রথমে ম্যাটের উপর বজ্রাসনে বসুন। পিঠ টানটান থাকবে।
২) এ বার দুই হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে মাথার উপর তুলুন।
৩) কোমর সোজা করে ধীরে ধীরে শরীর নামিয়ে আনুন। মাথা ঠেকবে মাটিতে।
৪) দুই হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে রেখেই মাথার সামনের দিকে প্রসারিত করুন।
৫) এই ভঙ্গিতে থাকতে হবে ২০ সেকেন্ড। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
৬) ধীরে ধীরে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসুন।
উপকারিতা কী কী?
মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। ব্রেন-স্ট্রোকের আশঙ্কা কমবে।
মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে, যে কোনও কাজেই মন বসবে।
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা কমবে। মনের অস্থিরতা দূর হবে।
এই আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অনিদ্রার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা রোজ অভ্যাস করতে পারেন এই যোগাসন।
উত্তনা শীর্ষাসন করলে সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে, এতে পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধি পাবে।
কারা করবেন না?
মেরুদণ্ডে আঘাত থাকলে আসনটি করা যাবে না।
চোখের সমস্যা থাকলে আসনটি না করাই ভাল।
হার্টের অসুখ থাকলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি করা ঠিক হবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি করবেন না।