ছবি : সংগৃহীত।
শিরোনাম পড়ে যাঁরা ভাবছেন, এতটা খারাপ অবস্থা আসেনি, মনে করে দেখুন, তাঁরাও জীবনে কোনও না কোনও সময়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। কোনও একটি মাসে হয়তো হিসাবের বেড়া মানেনি খরচ। আর যাঁরা হিসাবী নন, তাঁদের ক্ষেত্রে আকছার এমন হয়েই থাকে। কিন্তু এর সঙ্গে কারও অর্থনৈতিক অবস্থার সম্পর্ক নেই।
আশপাশে খোঁজ করলে দেখবেন, এমনও অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁরা মাসের শুরুতে মোটা টাকা উপার্জন করলেও স্রেফ বেহিসাবি খরচের জন্য মাসের শেষে হাতে টাকা রাখতে পারেন না। কিন্তু মাসের শেষে হাতে টাকা না থাকলে তারা কী ভাবে কম খরচে খাওয়া দাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। পাঁচটি পরামর্শ মেনে চললে, পকেট বাঁচিয়ে চার বেলার খাবারের ব্যবস্থা সেরে নিতে পারেন।
১। প্রথমেই দেখে নিন, ক’দিনের জন্য এই পরিস্থিতি সামলাতে হবে। সেই বুঝে একটি পরিকল্পনা বানিয়ে ফেলুন। দেখে নিন খাবারের জন্য খরচ করার মতো কত টাকা রয়েছে। প্রয়োজন হলে কিছু কিনতে কত অর্থ ব্যয় করতে পারবেন?
২। সাধারণ বাড়িতে চাল-ডাল-নুন-তেল জাতীয় জিনিস থাকেই। এমনকি, যাঁরা একা থাকেন, বাড়ি থেকে দূরে শহরে ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থেকে নিজের খাবারের বন্দোবস্ত করেন, তাঁরাও চাল-ডাল কিছু বাড়তি কিনেই রাখেন। আগে দেখে নিন ভাঁড়ারে মজুত কী আছে। চিন্তা নেই সেদ্ধ ভাত খেতে হবে না।
৩। দু’টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে— এক, খাবার নষ্ট যাতে না হয়। দুই, খাবার কিনতে হলে হয় ছাড়ের দামে বিক্রি হচ্ছে এমন জায়গা থেকে কিনুন অথবা ডাল, আলু,ডিমের মতো জরুরি খাবারেই খরচ করুন।
৪। নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমন সব্জিগুলি আগে কেটে নিয়ে ভেজে রেখে দিন। দিন তিনেকের ভাত এবং ডাল রান্না করে রেখে দিন। প্রয়োজন মতো ডিম ভেজে বা পড়ে থাকা মাংসের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে এগুলি দিয়ে বিভিন্ন রকম খাবার খাওয়া যেতে পারে।
৫। অনলাইন অ্যাপে খাবার কিনে অর্থ অপচয় করা এই সময়ের জন্য ঠিক নয়। ক’টা দিন অপেক্ষা করে যান। মুখরোচক কিছু কিনে রাখুন, যা যেকোনও খাবারের সঙ্গে মেশালেই তা সুস্বাদু হয়ে যাবে।