Anti-Inflammatory Diet

প্রদাহ বেশি হওয়া কেন ক্ষতিকর? কোন কোন খাবার খেলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়?

প্রদাহ একটি মাত্রা পর্যন্ত উপকারী হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু কী কী সমস্যা হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হলে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:১৫
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

কথায় কথায় ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ কমানোর কথা বলতে শোনা যায় পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকদের। শুনে মনে হতেই পারে, প্রদাহ জিনিসটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। বরং শরীরকে রোগমুক্ত রাখার জন্য প্রদাহ জরুরি। তবে সেই প্রদাহ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বেশি পরিমাণে হতে থাকে, তখনই হয় মুশকিল।

Advertisement

প্রদাহ বেশি হওয়া কেন ক্ষতিকর?

প্রদাহ একটি মাত্রা পর্যন্ত উপকারী হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন তারকা পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দো। কী কী সমস্যা হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হলে, তা-ও সবিস্তার জানিয়েছেন রায়ান।

Advertisement

১। প্রদাহ বাড়লে হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবিটিস, কিছু ক্যানসার এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

২। পেশিতন্তু, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, এমনকি, রক্তনালীরও ক্ষতি হতে পারে শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়লে।

৩। প্রদাহ প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কেও। শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়লে ‘ব্রেন ফগিং’-এর সমস্যা হতে পারে। যা সরাসরি মনোনিবেশে অক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, বিভ্রান্তিবোধ, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগজনিত সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছে বস্টনের টাফ্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষণা।

৪। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে শরীরে নানা ধরনের ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, পেশির টানের মতো সমস্যা হতে পারে।

৫। এ ছাড়া অতিরিক্ত প্রদাহ হজমের সমস্যাও তৈরি করতে পারে।

৬। প্রদাহের সমস্যা প্রভাব ফেলতে পারে ত্বকেও।

কোন খাবারে দূরে থাকবে প্রদাহ?

পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, ভারতীয় রান্নাঘরে সহজলভ্য কিছু খাবারেই কমতে পারে প্রদাহ।

১। শাক: সবুজ শাকপাতা বা পালংশাকে রয়েছে ফেনোলিক উপাদান, ক্যারেটিনয়েডস এবং নাইট্রেট। যা অতিরিক্ত প্রদাহ কমিয়ে আনে। পাশাপাশি, শরীরকে দূষণমুক্ত করতেও সাহায্য করে।

২। কফি: কফিতে আছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাফিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে প্রদাহ দূরে রাখতে সাহায্য করে।

৩। হলুদ: হলুদে থাকা কারকিউমিন হল অত্যন্ত জোরালো একটি প্রদাহনাশক উপাদান। যা অস্থিসন্ধি সহ অন্যান্য ব্যথা, আড়ষ্ট ভাব কমাতে সাহায্য করে।

৪। বেদানা, চেরি, কালো আঙুর: গাঢ় রঙের খাবারে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিন, যা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। পাশাপাশি, শরীরকে দূষণমুক্ত করতেও সাহায্য করে।

৫। বাদাম: কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদামে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে পারে।

৬। গ্রিন টি: এতে রয়েছে পলিফেনল এবং এপিগ্যালো ক্যাটেসিন গ্যালেট। এই উপাদান প্রদাহ কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী।

৭। আদা: আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল নামের জৈব সক্রিয় উপাদান। শুকনো আদায় আবার থাকে শোগাওল নামে আর এক ধরনের জৈব সক্রিয় উপাদান। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মুক্ত করে। দূষিত পদার্থও শরীর থেকে বার করে দিতে সাহায্য করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement