ছবি : সংগৃহীত।
মেয়ে পুরোদস্তুর মডেল অভিনেত্রী। সিনেমায় অভিনয়ের চেষ্টার মাঝেই একের পর এক মিউজ়িক ভিডিয়ো অথবা নামী ব্র্যান্ডের ফ্যাশন প্যারেডে দেখা মিলছে পলক তিওয়ারির। অথচ শ্বেতা তিওয়ারিকে দেখলে বোঝার উপায় নেই তিনি ওই কন্যার মা। শুধু তা-ই নয়, দুই সন্তানকে এক হাতে মানুষ করেছেন তিনি। তার সঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন নিজের কাজ।
বয়স চল্লিশের বেড়া টপকে পঞ্চাশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। অথচ এখনও তিনি ঝরঝরে চেহারাখানা ধরে রেখেছেন। তাঁকে দেখলে ৩৫ বলে চালিয়ে দেওয়া যায় এখনও। সেই ২০০১ সালে কসৌটি জিন্দগি কি দিয়ে যাত্রা শুরু করে এখনও তিনি হিন্দি ধারাবাহিকের পর্দায় জাঁকিয়ে রয়েছেন। তাঁর ফিটনেস দেখলে অবাকই হন অনেকে। সম্প্রতি সেই ফিটনেসের রহস্যভেদ করলেন অভিনেত্রী।
শ্বেতা জানাচ্ছেন, তাঁর ফিট থাকার মন্ত্র একটাই। যা-ই হয়ে যাক না কেন তিনি শরীরচর্চা বন্ধ করেন না। সারাদিনের যে কোনও সময় ১৫ মিনিটের জন্য হলেও তিনি হয় জিমে যাবেন, নয়তো হাঁটবেন । কিন্তু রুটিনে বাদ পড়বে না কখনও। শ্বেতা বলছেন, “ফিট থাকতে পরিশ্রম লাগে। আমি সেই পরিশ্রম কখনও ফাঁক রাখি না।’’
ইদানীং অবশ্য হাঁটা আর জিমে যাওয়ার পাশাপাশি আরও দু’রকম শরীরচর্চা শুরু করেছেন শ্বেতা। তিনি এখন পিলাটেজ় আর ওয়েট ট্রেনিংও করছেন। পিলাটেজ় হল বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে করা শরীরচর্চা। যা শারীরিক ভঙ্গিমা বা পশচার ঠিক করতে কাজে লাগে। এ ছাড়া ফিটনেস প্রশিক্ষকেরা বলেন, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে শরীর থেকে যে পেশি কমতে শুরু করে তার জন্য ওয়েট ট্রেনিং জরুরি। ৪৫ বছর বয়সে তাই শ্বেতা আগে থেকেই সতর্ক হয়েছেন। যাতে শরীরে জরুরি পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখা যায়।