নতুন বাবা-মায়েদের ঘুমনোর টিপস দিলেন রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্ট! ছবি : সংগৃহীত।
সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে যে বাবা-মায়ের ঘুমের দফারফা হবে, তা সবাই জানেন। তবে বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’ রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্ট জানাচ্ছেন, তাঁদের এই সমস্যায় পড়তে হয়নি।
সামনের নভেম্বরে ৩ বছরের হবে রণবীর-আলিয়ার একমাত্র কন্যা রাহার। আলিয়া জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত সারা দিনের যে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম বা ঘুম, তা পূরণ করতে তেমন অসুবিধা হয়নি তাঁর বা রণবীরের। কী ভাবে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, তা-ও জানিয়েছেন রাহার বাবা-মা।
সাধারণত সদ্যোজাত শিশুদের দু’ঘণ্টা অন্তর খাবার খাওয়াতে হয়। স্তন্যপান করাতে হয় মায়েদের। ধীরে ধীরে দুধ ছাড়া অন্যান্য ভারী খাবার খাওয়ানো যখন শুরু হয়, তখন খাওয়ানোর বিরতি বাড়ে। এক বছরের শিশুকে ৩-৪ ঘণ্টা অন্তর খাওয়ালেও চলে। সেই অভ্যাসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাবা-মায়েদের রুটিনও বদলে যায়। এর পাশাপাশি রাতে সন্তান উঠে পড়লে তাকে ঘুম পাড়ানো, তার ন্যাপি বদলে দেওয়ার মতো কাজও করতে হয়। যা করতে গিয়ে রাতের নিশ্চিন্ত ঘুম কখনওই হয় না বাবা-মায়ের। তবে আলিয়া বলছেন, তিনি আর রণবীর তাঁদের ঘুমের ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার উপায় বার করে নিয়েছিলেন।
রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্টের সঙ্গে তাঁদের কন্যা রাহা কপূর।
অভিনেত্রী কাজল এবং টুইঙ্কল খান্নার টক শো-এ এসেছিলেন রণবীর এবং আলিয়া। কাজল এবং টুইঙ্কল, দু’জনেই বিয়ে করেছেন বলিউডে তাঁদের সহকর্মীকে। কাজল এবং অজয় দেবগন, টুইঙ্কল এবং অক্ষয়কুমারও আলিয়া রণবীরের মতোই খাঁটি বলিউড দম্পতি। অভিনয়ের কাজ সামলে কাজল-অজয় মানুষ করেছেন দুই সন্তানকে। টুইঙ্কল আর অক্ষয় এক কন্যা এবং এক পুত্রের বাবা-মা। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের আড্ডায় এসে পড়েছে সন্তান মানুষ করার প্রসঙ্গ। নতুন বাবা-মা রণবীর-আলিয়াকে তাঁদের সন্তান পালনের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন কাজল এবং টুইঙ্কল।
আলিয়া জানিয়েছেন, রাহার জন্মের পরে তাঁরা ‘আর্লি টু বেড, আর্লি টু রাইজ়’ নীতিতে চলেন। আলিয়া বলছেন, ‘‘বেশির ভাগ দিনই আমি রাত সাড়ে ন’টায় শুয়ে পড়ি। রণবীর সঙ্গে সঙ্গে না এলেও আধ ঘণ্টার মধ্যেই চলে আসে। আর ও উঠেও পড়ে তাড়াতাড়ি। ফলে প্রথম দিকে হয়তো রাতে দু’-এক বার জাগতে হত, কিন্তু এখন খুব একটা জাগতে হয় না। রাহার ঘুম ভাঙতে ভাঙতে আমরা উঠেই পড়ি।’’
ফিল্ম জগতে কর্মরতদের জন্য ফিটনেসের পাশাপাশি সৌন্দর্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। আর উভয় ক্ষেত্রেই জরুরি হল ঘুম। তাই ঘুমের ব্যাপারে যে তাঁদের খেয়াল রাখতেই হয়, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।